ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২২ মে ২০২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

জলপাইগুড়ির মুর্তিক্যাম্পে গিয়ে একাত্তুরকে স্মরণ ২৩ মুক্তিযোদ্ধার

রক্তিম দাশ. সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৩৪, অক্টোবর ১২, ২০১১
জলপাইগুড়ির মুর্তিক্যাম্পে গিয়ে একাত্তুরকে স্মরণ ২৩ মুক্তিযোদ্ধার

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ডুর্য়াসের মুর্তি নদীর ধারে মেটলি চা বাগান। এখানে ১৯৭১ সালে ভারতীয় সেনাবহিনীর সাহায্যে স্থাপিত হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং ক্যাম্প।

এটি ছিল মুক্তি বাহিনীর আধিকারিকসহ সেনাদের প্রশিক্ষণ শিবির।

১৯৭১ সালের ৯ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে এই  শিবিরটিতে প্রথম ব্যাচ প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। এখানে মুক্তিবাহিনীর আধিকারিকরা  তিনমাসের নিবিড় প্রশিক্ষণ নিতেন। সেনারা নিতেন চার সপ্তাহের প্রশিক্ষণ। প্রথম ব্যাচে ছিলেন ৬১ জন আর দ্বিতীয় ব্যাচে ছিলেন ৭০ জন।

চল্লিশ বছর আগের এই স্মৃতিকে আরও একবার স্মরণ করার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্টানে যোগ দিতে এসেছেন ২৩ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি প্রতিনিধিদল। তারা মুর্তি নদী সংলগ্ন মাঠ ও এলাকাটি পরিদর্শন করেন।

মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মিজানুর রহমান (অবসরপ্রাপ্ত মেজর) বাংলানিউজকে বলেন, চল্লিশ বছর আগে এই দিনটিতে আমরা তিনটি সারিতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমাদের সামনে ছিলেন- বাংলাদেশের তৎকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও কমান্ডার ইন চিফ। সেদিন আমরা মুক্তিবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হই।

প্রতিনিধিদলের প্রধান মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত আবদুর রউফ বলেন, আমরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা চাই এই ঐতিহাসিক স্থানটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলে স্মৃতিকে সংরক্ষণ করা হোক।

যাতে বর্তমান প্রজন্মের বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষজন জানতে পারে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে মিত্রবাহিনীর বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের কথা।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর  ১২,  ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।