কলকাতা: এই প্রথম স্বতন্ত্রভাবে কলকাতায় বাংলাদেশি বই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার কলকাতার রবীন্দ্র সদনের গগণেন্দ্র শিল্প প্রদর্শনশালায় এ বইমেলার উদ্বোধন করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক সুনীল গাঙ্গুলী, ভাষাবিদ পবিত্র সরকার, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য দিলীপ সিংহ, চিত্রকর শুভাপ্রসন্ন, ভারপ্রাপ্ত উপ-হাইকমিশনার তারেক মুহম্মদ আরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নির্বাহী পরিচালক ফরিদ আহমদ প্রমুখ।
যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করছে বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি।
মেলার উদ্বোধন করে ব্রাত্য বসু বলেন,‘ আমাদের নতুন সরকারের সময়কালে এই মেলা হয়নি। এবার এই মেলা হল। এর চেয়ে আনন্দের কিছু হতে পারে না। দুই বাংলায় আমরা একই জনগোষ্ঠীর মানুষ। বইমেলা এই বন্ধন দৃঢ় করবে। ’
তিনি বলেন, ‘সবার জন্য কাঁটাতারের সমস্যা আছে। বইয়ের জন্য তা নেই। যাই হোক না কেন বই ফিনিক্স পাখির মতো বেঁচে থাকবে। বইয়ের মৃত্যু নেই। ’
লেখক সুনীল গাঙ্গুলী বলেন, ‘অনেক দেরী হল। আরও আগে হলে ভালো হত। এর ফলে আদান-প্রদান বাড়বে। ’
এরপরই তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,‘ঢাকার টিভি চ্যানেলগুলো কলকাতায় দেখতে না পাওয়াটা অনুচিত। এটা নিন্দনীয় বিষয়। ’
এদিন এই বইমেলায় ঢাকার বাংলাপ্রকাশের পক্ষ থেকে সাহিত্যিক সুনীল গাঙ্গুলীর ‘কাহিনীর পর কাহিনী’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন সুনীল গাঙ্গুলী স্বয়ং।
তার হাতে বইটি তুলে দেন লেখক ও সাংবাদিক হুমায়ূন কবীর ঢালী।
বইমেলাতে বাংলাদেশের ৩০টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিয়েছে। প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেলা।
বইমেলার কোন প্রবেশমূল্য থাকছে না। প্রতিটি বই ক্রয় করলে ৩০ শতাংশ কমিশন দেওয়া হবে। এই মেলা চলবে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
এদিকে মেলা উপলক্ষে ১৪ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৪টায় ‘বাংলাদেশের সৃজনশীল প্রকাশনা ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’ বিষয়ক বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে কলকাতার নেহেরু শিশু যাদুঘরে।
সেখানে দুই বাংলার বিশিষ্ট লেখক, বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতি-ব্যক্তিত্বরা ছাড়াও অংশ নেবেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শাহরিয়ার কবির।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১১
