কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পাহাড়ের সমস্যা সমাধানের জন্য সাক্ষরিত গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিস্ট্রেশন (জিটিএ) গঠনের আগেই আবার নতুন করে চুক্তির দাবি জানাল গোখা জনমুক্তি মোর্চা ও আদিবাসী বিকাশ পরিষদ।
আর এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে এবার বিরোধীতা শুরু করল পাহাড়ের মোর্চা বিরোধী রাজনৈতিকদলগুলি ও বামফ্রন্ট।
এই সম্মেলনে মোর্চার শীর্ষ নেতা বিমল গুরুং বলেন, তারা রাজ্য সরকারের কাছে জিটিএর নাম পরিবর্তন করে গোর্খাল্যান্ড-আদিবাসী টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএটিএ) করতে চান বলে প্রস্তাব পাঠাচ্ছেন।
আর এই নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়েছে পাহাড় জুড়ে এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে। পাহাড়ে মোর্চা বিরোধী গোর্খা লিগের সম্পাদক লক্ষ্মণ প্রধান সোমবার বলেছেন, জিটিএ গঠনের জন্য ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। যা রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছে। এখন আবার নতুন করে নাম পরিবর্তনের আমরা বিরোধিতা করব।
সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির নেতা সলিল আচার্য বলেন, এই সিদ্ধান্ত নতুন করে পাহাড় এবং সমতলের মধ্যে অশুভ বার্তা বহন করবে। শান্তি এই অঞ্চলে আর আসবে না।
বিকাশ পরিষদের বিরোধী সংগঠন ডুর্য়াসের পিপি পার্টির সভাপতি কিরণ কালিন্দি এই প্রস্তাবের বিরোধীতা করে বলেছেন, এই ঘটনায় আদিবাসী কিছু নেতার স্বার্থসিদ্ধি হল। আর এই জন্যই ওরা মোর্চার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
এদিকে, বিকাশ পরিষদের রাজ্য সভাপতি বিরসা তিরকে এবং ২২টি সংগঠনকে নিয়ে গঠিত তরাই-ডুর্য়াস মুভমেন্ট কমিটির অধিকাংশ সদস্যই এই বৈঠকের কথা জানেন না বলে জানা গেছে।
বিরসা তিরকে বলেছেন, জিটিএ গঠিত হবার পর এই সব আলোচনার কোন মানেই হয় না। কী আলোচনা হয়েছে তাই আমি জানি না।
অন্যদিকে বিকাশ পরিষদের রাজ্য সম্পাদক তেজ কুমার টোপ্পো অবশ্য দাবি করেছেন, এই ঘটনায় তারদের রাজনৈতিকভাবে লাভ হয়েছে।
তিনি বলেছেন, এরফলে মোর্চার মতো বিকাশ পরিষদের বিস্তৃতি পাহাড়ে বাড়ল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১১