ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ঢাকা-কলকাতা সরাসরি বাসের ভাড়া কত?

রক্তিম দাশ. সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১১
ঢাকা-কলকাতা সরাসরি বাসের ভাড়া কত?

কলকাতা: ভারত ও বাংলাদেশের সম্প্রীতির নির্দশন  হিসেবে বেশ কয়েকবছর ধরেই ঢাকা-কলকাতার মধ্যে সরকারিভাবে সরাসরি যাত্রীবাস সার্ভিস চলছে। কিন্তু এখন এই রুটের বাসের প্রকৃত ভাড়া কত তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।



সপ্তাহের ৬ দিন- রোববার বাদে এই বাস সার্ভিস কলকাতার সল্টলেকের করুণাময়ী আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল থেকে সকাল ৭টায় যাত্রা করে।

দমদমের যশোর রোড ধরে বারাসাত, বনগাঁও পেট্রাপোল সীমান্ত অতিক্রম করে বেনাপোল পৌঁছে। যশোর, মাগুরা হয়ে দৌলতদিয়ায় গিয়ে বাস ফেরিতে করে পদ্মানদী পার হয়।

এরপর পাটুরিয়া ফেরিঘাট ছেড়ে মানিকগঞ্জ, সাভার হয়ে  সন্ধ্যায় গন্তব্যস্থল ঢাকার কমলাপুর বিআরটিসি বাসটার্মিনালে পৌঁছে।

সোম, বুধ ও শুক্রবার ভারতের তরফে সৌহার্দ নামে দুটি এসি ভলভো বাস উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পক্ষান্তরে বিআরটিসির শ্যামলী পরিবহণের দুটি বাসের কথা থাকলেও একটি খারাপ থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই একটি বাস কলকাতায় আসে।

উল্লেখ্য, কলকাতাতেও বাংলাদেশের শ্যামলী পরিবহণের মালিক রমেশ ঘোষের ভাই ভারতীয় নাগরিক অবনী ঘোষ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূতল পরিবহণের দুটি বাস চালাচ্ছেন বেশ কয়েকবছর সফলতার সঙ্গে। এ যাত্রীবাসও চলছে শ্যামলী পরিবহণের নামে।

কিন্তু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে- এই বাসের প্রকৃত ভাড়া কত ? ২ মাস আগেও বাসটির যাওয়া-আসার ভাড়া ছিল ভারতীয় রুপিতে ১ হাজার ২শ রুপি। আর বাংলাদেশি টাকায় ২ হাজার ২শ’ রুপি।

বাস চালু হওয়ার অনেকদিন পর এর ভাড়া বেড়ে হয় ভারতীয় রুপিতে ১ হাজার ২শ। আর বাংলাদেশি টাকায় ১হাজার ৮শ টাকা। কমলাপুর বিআরটিসির বাসটার্মিনালের টিকিট কাউন্টারের বাইরে সরকারি নির্দেশনামার বোর্ডে এখনও তাই শোভা পাচ্ছে।

কিন্তু বর্তমানে এই বাসের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ভারতীয় রুপিতে ১হাজার ৩শ ও বাংলাদেশি টাকায় ২ হাজার ৪শ। কিন্তু এই ভাড়া বৃদ্ধির জন্য কোন সরকারি নির্দেশ বা প্রজ্ঞাপন কোথাও নজরে পড়েনি।

এই ধরণের একটি আন্তর্জাতিক রুটে ভাড়া বাড়লে কী সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় না ? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে বাংলানিউজের পক্ষে যোগাযোগ করা হয় কলকাতায় ভূতল পরিবহণ নিগমের এমডি আশিষ ঠাকুরের সঙ্গে।

কিন্তু তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়- তিনি বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত। তার সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি নির্দিষ্ট করে জানানো যাচ্ছে না।

কলকাতায় শ্যামলী যাত্রী পরিবহণের কর্ণধার অবনী ঘোষকেও অনেকবার ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।

এই বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে বাংলানিউজের হাতে সৌহার্দ বাসের দুটি টিকিট এসেছে। যেখানে কলকাতা থেকে কাটা টিকিটটিতে ভাড়া লেখার নির্দিষ্ট কলামে অংকে বা কথায় ভাড়া উল্লেখ না করে ফুল পেড শব্দটি লেখা আছে।

আর ঢাকা থেকে কাটা টিকিটতে লেখা আছে ভাড়া ১২০০ টাকা। তবে তা রুপি বা টাকা বলে কিছু লেখা নেই।

কলকাতা থেকে কাটা টিকিট-২০১৮৮ ও ঢাকা থেকে নেওয়া টিকিট-২২৯৮৮ এর যাত্রী শুভজিৎ রায়চৌধুরী। যিনি কলকাতার একজন বিশিষ্ট আইনজীবি।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এই ধরণের একটি আন্তর্জাতিক বাস রুটে টিকিটের প্রকৃত দাম কী তা জানার অধিকার নেই যাত্রীদের।

তাছাড়াও টিকিটে ভাড়ার উল্লেখ না করাটাও যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণার সামিল। তিনি বলেন, এর দায় দুদেশের সরকার এড়াতে পারে না। এরফলে যাত্রী কী ভাবে প্রমাণ করবেন, প্রকৃত ভাড়া কত।

কলকাতার সদর স্ট্রিটে শ্যামলীর কাউন্টারে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে, কর্মরত একজন বলেন, তেলের দাম বেড়েছে। তাই টিকিটের দামও বেড়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।