আগরতলা (ত্রিপুরা) : জাতীয় খাদ্য নীতির বিরোধিতা করবে ত্রিপুরার বামফ্রন্ট সরকার। পরিষ্কার ভাষায় এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী মানিক দে।
কেন্দ্রীয় সরকার সারাদেশে এক অভিন্ন খাদ্যনীতি প্রণয়ন করতে চায়। কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকার এই খাদ্য নীতির তীব্র বিরোধিতা করছে।
রাজ্যের মন্ত্রীসভায় ‘জাতীয় খাদ্য নীতি’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানেও এই প্রস্তাবিত খাদ্য নীতির সমালোচনা করা হয়।
মন্ত্রী মানিক দে বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার যে খাদ্য নীতি প্রণয়ন করতে চাইছে এতে গ্রীব মানুষের কোন লাভই হবে না। বরং বাজারে খাদ্যের দাম বাড়বে আরও চড়া হারে।
এমনিতেই দেশে এখন প্রচন্ডভাবে বাড়ছে খাদ্য পন্যের দাম। খাদ্যপণ্যে মুদ্রাস্ফীতি ছুঁয়েছে সর্বকালের রেকর্ড।
প্রস্তাবিত ‘জাতীয় খাদ্য নীতি’ অনুযায়ী দেশের প্রতিটি গরীব মানুষকে মাসে ৭ কেজি করে চাল বা গম দেবার কথা বলা হয়েছে।
আর যারা গরীব নন তাদের মাসে ৩ কেজি করে ভর্তুকিতে খাদ্য দেবার কথা বলা হয়েছে।
ত্রিপুরার বামফ্রন্ট সরকার সারাদেশের সবাইকে ভর্তুকিতে প্রতি মাসে ৭ কাজি করে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করার দাবি তুলছে।
মানিক দে বলেছেন সরকার যে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে তাতে গনবণ্টন ব্যবস্থা উঠে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১১