ঢাকা: পুরো পশ্চিমবঙ্গই চলছে ‘রিয়্যালিটি শো’। অর্থাৎ দাদাগিরির জয় জয়কার।
এরপর সিনেমার রঙিন জগৎ থেকে দাদাগিরি করতে এলেন মিঠুন চক্রবর্তী। এসব দেখে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির মাঠে দাদাগিরি করতে ছাড়লেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার হুমকি-ধামকিতে সোমবার রাতে ঝড় উঠেছে কলকাতার এক পুলিশ স্টেশনে।
সোমবার মারামারি-লুটপাট-অগ্নিসংযোগের দায়ে গ্রেপ্তার হওয়া নিজ দলের কর্মীদের দাদাগিরির জোরেই হোক আর ক্ষমতার দাপটেই হোক ছুটিয়ে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী ।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে ভবানীপুরের ক্যান্সার ইনস্টিটিউট এবং একটি শিশুদের হাসপাতালের সামনে প্রায় শ’তিনেক মানুষ গন্ডগোল এবং উচ্চগ্রামে মাইক বাজাচ্ছিল।
জগদ্ধাত্রী পুজো উদযাপন কমিটি এই গন্ডগোলের জন্য দায়ী। আর এজন্য তারা বন্ধ করে দেয় দক্ষিণ কলকাতাগামী এসপি মুখার্জি সড়ক।
জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি নিয়ন্ত্রণ করে জগন্নাথ সাও। আর তিনি হলেন মমতা দিদির ভাই ভবন ব্যানার্জির একান্ত সহযোগী।
ভবানীপুর পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, জগন্নাথ সাওয়ের নামে এ পর্যন্ত মোট ছয়টি মামলা আছে। এরমধ্যে অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে অস্ত্র মামলাও আছে। সাও এবং ভুবন ব্যানার্জি দুজনেই ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
মমতা ব্যানার্জি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের নিজের বাস ভবন থেকে কাছেই ভবানীপুর পুলিশ স্টেশনে ছুটে যান ঘটনার পরপরই। ঘটনাস্থলে পৌঁছে কলকাতা পুলিশ কমিশনার আর কে পাঁচনন্দ, বিভাগীয় কমিশনার (দক্ষিণ) ডি পি সিং এবং পুলিশ স্টেশন প্রধানকে জগদ্ধাত্রী পুজোর ওই আনন্দ মিছিল বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তিরস্কার করেন।
জগন্নাথ সাওয়ের মূল কাজই হলো স্থানীয় কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বাড়ি নির্মাণের যাবতীয় রসদ সাপ্লাই দেওয়া। এছাড়াও সাও সরাসরি রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১১