ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

কংগ্রেস-তৃণমূল নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে বিপাকে বিমান বসু

রক্তিম দাশ. সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১১

কলকাতা: সাংবাদিক বৈঠকে মেজাজ হারিয়ে রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল-কংগ্রেস সর্ম্পক নিয়ে অশালীন মন্ত্যব করে বির্তকে জড়ালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক ও বামফ্রন্ট সভাপতি বিমান বসু।

বুধবার বিকালে সিপিএমের রাজ্য কার্যালয় কলকাতার আলিমুদ্দিন স্ট্রটে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিমান বসু।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে একটা পর্যায়ে তাকে প্রশ্ন করা হয় তৃণমূল ও কংগ্রেসের বর্তমান সর্ম্পক নিয়ে। এই সময় তিনি মেজাজ হারিয়ে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেন।

তিনি বলেন, কংগ্রেস-তৃণমূল সর্ম্পক শাড়ির ওপরে, নাকি শাড়ির তলায় থাকবে তা আমি জানব কী করে?

এদিন তিনি আরও বলেন, ভবানীপুর থানায় রোববার যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে তারপর মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেফতার দু’জন সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দিতে থানাকে চাপ দেন। একজন মুখ্যমন্ত্রী এভাবে সন্ত্রাসীদের মদত দিচ্ছেন এটা নজিরবিহীন ঘটনা।

এদিকে সিপিএমের এই প্রবীণনেতার মন্তব্যে কলকাতায় ব্যাপক চ্যাঞ্চলের সৃস্টি হয়। প্রত্যেকটি টিভি চ্যানেলে এই ঘটনা বার বার দেখানো হতে থাকে।

বিভিন্ন মহল থেকে তার মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা ও নিন্দা করা হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রাতে বিমান বসু তার এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে একটি বিবৃতি দেন।

এই বিবৃতিতে বিমান বসু এই ঘটনার জন্য সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিকরা তাকে বার বার তৃণমুল ও কংগ্রেসের সর্ম্পক নিয়ে প্রশ্ন করছিলেন। তাই তিনি বিরক্ত হয়ে এই মন্তব্য করেছেন।

তবে এই বিবৃতিতে তিনি স্বীকার করেছেন, এই ধরণের ভাষা  প্রয়োগ করা তার ঠিক হয়নি এবং  তার মেজাজ হারিয়ে ফেলাও ঠিক হয়নি।

উল্লেখ্য, এই ধরণের অশালীন মন্তব্য সিপিএমের শীর্ষ নেতাদের মুখে নতুন নয়। এর আগে সরকারে থাকার সময় এই দলের প্রবীণ দুই নেতা রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বিনয় কোনার ও আরামবাগের সাবেক সাংসদ অনিল বসু তৎকালীন বিরোধী নেত্রী বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে প্রকাশ্য জনসভায় কুৎসিত মন্তব্য করেছিলেন।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৭ ঘন্টা, নভেম্বর ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।