কলকাতা: কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ। ৫টার পরও বেশ কিছু বুথে ভোটারদের লাইন চোখে পড়েছে। ফলে ভোটের হার কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে কোথাও বিশেষ কোনও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়নি।
তবে সকালে দুয়েকটি বুথে ইভিএম নিয়ে সামান্য সমস্যা হলেও তার দ্রুত সমাধান করে সর্বত্র ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এদিন সকাল থেকে ভোট পড়ার হার ছিল খুবই কম। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভোটের হার কিছুটা বাড়লেও গত লোকসভার নির্বাচনের তুলনায় তা ছিল বেশ কিছুটা কম।
রাজ্যের শীর্ষনেতাদের এদিন ভোট দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি, রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, লোকসভার সাবেক স্পিকার সোমনাথ চ্যাটার্জি, রাজ্যের মন্ত্রী ববি হাকিম, মদন মিত্র, তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত বকসী, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, অভিনেতা তথা বিধায়ক চিরঞ্জিত, সাংসদ দেবশ্রী রায় প্রমুখ।
দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের ১ হাজার ৯শ’ ২টি বুথের জন্য ৬৩৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়।
এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ছিল ১৫ লাখ ৬০ হাজার ৩৭ জন।
এ ভোটকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়। এ কেন্দ্রে ৩১৫টি বুথকে স্পর্শকাতর ও ৩৩৫টি বুথকে অতি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়।
এ ভোটের জন্য ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। তাছাড়া কলকাতা পুলিশের বিশাল বাহিনীও নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল।
প্রতিটি বুথেই বসানো হয় সিসিটিভি। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ছিলেন ৩ জন পর্যবেক্ষক ও ১৭৩ জন মাইক্রো অবজার্ভার।
এদিকে, এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম দু-দলই জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।
তৃণমূলের দাবি প্রত্যাশিত মার্জিনেই সুব্রত বকসী জয়ী হবেন। অন্যদিকে সিপিএমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যে এবং কেন্দ্র সরকারের জনবিরোধী নীতির কথা মাথায় রেখে তৃণমূল প্রার্থীকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।
বাংলাদেশ সময়:১৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১১