কলকাতা: ভয়াবাহ অগ্নিকাণ্ডের পর কলকাতার বেসরকারি এমআরআই হাসপাতালের রোগীদের উদ্ধারকারী স্থানীয় ঢাকুরিয়ার পঞ্চানতলার বস্তির অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন,। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
রোববার সকালে ঘটানাস্থলে বাংলানিউজের পক্ষ থেকে গেলে স্থানীয়রা এই খবর দেন। তারা অভিযোগ করেন, এখন পর্যন্ত তারা সরকারি বা বেসরকারি কোনো সাহায্যই পাননি।
এই উদ্ধারকারী সুকুমার মন্ডল, রাজা দাস, সুরজ ঘোষরা বেশ অসুস্থ। তাদের মাথা ঘুরছে, শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, ঘন ঘন বমি হচ্ছে। অনেকেরই শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যান্ডেজ বাঁধা। অভিশপ্ত রাতে হাসপাতালের গ্লাস ভেঙে ঢুকে উদ্ধার করতে তারা নিজেরাও হয়েছেন আহত। কিন্তু তখন নিজেদের কথা চিন্তা না করে তারা ব্যস্ত ছিলেন রোগীদের বাঁচাতে।
এর মধ্যে শঙ্কর মাইতির অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার রাতেই তাকে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে হয়েছে। ২৩ বছর বয়সী শঙ্কর ওইদিন ভোররাত থেকেই দুপুর ২টো পর্যন্ত উদ্ধার কার্য করার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ট্রেনে হকারি করা শঙ্কর এখন আইসিইউতে ভর্তি। তাকে ভেন্টিলেশন দিতে হচ্ছে। বস্তির মানুষজন চাঁদা তুলে তার চিকিৎসা করাচ্ছেন। কোনো সরকারি সাহায্য তারা পাননি এখন।
কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রবীর বিশ্বাস বলেন, মূলত সেদিন কার্বন-ডাইঅক্সাইড ও কার্বন-মনোঅক্সাইড গ্যাসের প্রভাবেই এরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর ফলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পরতো তাৎক্ষণিকভাবে। কারণ এরা কোনোরকম গ্যাস-মুখোশ না পরেই উদ্ধারকাজ করছিলেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। এদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেছে বলে এই ধরনের উপসর্গ ঘটছে। যা আশঙ্কাজনক।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১১