কলকাতা: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মগরাহাটের সংগ্রামপুরে বিষাক্ত মদ পান করে ১৯ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও ১৫০ জনেরও বেশি।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বহু মৃতদেহ এখনও গ্রামে পড়ে আছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বহুদিন থেকেই মগরাহাট অঞ্চলে রমরমিয়ে চলতো চোলাই মদের ঠেক। পুলিশ এবং প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি।
মঙ্গলবার রাতে সেই চোলাই মদের দোকান থেকেই বিক্রি করা মদ পান করলে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হন মদ্যপরা।
স্থানীয় বিধায়ক গিয়াসুদ্দিন মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, ‘এই চোলাই মদের ব্যবসা বেআইনি। দীর্ঘ ৩৪ বছরের ধরেই এই ধরনের কার্যকলাপ চলে আসছে। তবে যত শিগগির সম্ভব এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪ জন চোলাই মদ প্রস্তুতকারীকে।
বুধবার সকালে সংগ্রামপুরে পৌঁছন সুজন চক্রবর্তী, রেজ্জাক মোল্লা, শমিক লাহিড়ীসহ আরও কিছু বাম নেতা। তাদের চেষ্টাতেই অসুস্থদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কমল মান্না বাংলানিউজকে বলেন, আমার কাকার ছেলেও কাল রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। আজ বেলা ১২ টা নাগাদ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। ’
ডায়মন্ড হারবারের হাসপাতালে তাদের মৃতদেহের ময়নাদন্ত করা হচ্ছে।
এদিন বিধানসভায় বিরোধীরা এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন উপস্থিত না থাকায় সুব্রত মুখার্জি জানান প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। মৃতদের পরবার পিছু ২ লাখ রুপি করে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১১