কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাস হলো রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় বিল। বিধানসভায় ৩ ঘণ্টা ধরে আলোচনার শেষে শুক্রবার ভোটের মাধ্যমে বিলটি পাস হয়।
এদিন বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতে ওয়াকআউট করলে বিশ্ববিদ্যালয় বিল সংক্রান্ত বিষয়ে বামফ্রন্ট বিধায়করা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। তারা বিলটির বিরোধীতায় সরব হন। তাদের অভিযোগ, বিলটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য্যদের কার্যক্রম পদ্ধতিকে অসন্মানজক বলে মন্তব্য করা হয়।
বিলটির বিরোধীতা করে মোট ১৩৬টি সংশোধনী আনা হয়, সরকারপক্ষের ২৬টি ও এসএইউসিআইয়ের একটি সংশোধনী প্রস্তাবসহ বিলটি পাস করা হয় ।
তবে জবাবী ভাষণে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দলতন্ত্র মুক্ত ও উৎর্কষতা বৃদ্ধির জন্যই এই বিল।
আলোচনার পর বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর আর্জি জানালে তা খারিজ হয়ে যায়।
পরে ভোটাভুটিতে নিরঙ্কুশ সংখাগরিষ্ঠতায় বিলটি পাস হয়।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতি নির্ধারক কমিটিগুলো থেকে ছাত্র, শিক্ষাকর্মী ও অফিসারদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল সরকার।
তার প্রবল সমালোচনা হওয়ায় নতুন বিলে সেনেট ও কোর্টে শিক্ষাকর্মী ও আধিকারিকদের প্রতিনিধিত্ব রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
কিন্তু রাজনৈতিক মহলের ধারণা, সিন্ডিকেটে ছাত্র বা শিক্ষাকর্মীদের প্রতিনিধি না থাকায় কার্যত বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় তাদের কোনো ভূমিকাই থাকবে না। এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের বিস্তারিত আলোচনার দাবিতেও কান দেয়নি সরকার। নতুন এই শিক্ষাবিল রাজ্যে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করবে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১১