কলকাতা : সাবেক বাম সরকারের আমলে নন্দীগ্রামে গুলি চালানোর ঘটনায় প্রকাশ্যে রাজ্য সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেছিলেন। এবার রায়গঞ্জ কলেজে অধ্যক্ষ নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে নিন্দায় সরব হলেন কবি শঙ্খ ঘোয।
রায়গঞ্জ কলেজে উন্মত্ত তৃণমূল সমর্থকদের হাতে নিগৃহীত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ দে সরকারের পদত্যাগপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুক্রবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবিলম্বে কলেজ চালু করার পাশাপাশি অধ্যক্ষের ইস্তফাপত্র গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।
এর বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষ। তিনি বলেছেন, নিগৃহীত অধ্যক্ষের পদত্যাগ গ্রহণ করা হলে, তা হবে খুবই অসঙ্গত। অবশ্যই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা উচিত নয়। পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা মানে গুণ্ডাবাহিনীর এই অনাচারকে প্রশ্রয় দেওয়া।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর উচিত পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করার জন্য দিলীপ দে সরকারকে অনুরোধ করা।
এদিকে ওই ঘটনার নিন্দা করেছেন নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেনও।
অন্যদিকে, নিগৃহীত হওয়ার ঘটনায় রীতিমতো ব্যথিত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ দে সরকার। তিনি বলছেন, দীর্ঘদিনের শিক্ষকতা জীবনে এমন ঘটনা কখনও দেখেননি। বৃহস্পতিবার যা ঘটেছে- তাকে আর যাই হোক, রাজনীতি বলা চলে না।
দিলীপবাবু জানিয়েছেন, এখনও তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন। বুকে ব্যথা রয়েছে। চিকিৎসকরা তাকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন।
তার ইস্তফাপত্র গ্রহণের ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন দিলীপ দে সরকার। তিনি বলছেন, তিনি সরে যাওয়ার পর নতুন অধ্যক্ষের পরিচালনায় রায়গঞ্জ কলেজ আবার তার পুরনো গৌরব ফিরে পাক- তিনি সেটাই চান।
এ ঘটনায় যে নয়জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে তারা নেহাতই তৃণমূলের নীচুতলার কর্মী। ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগও আনা হয় জামিনযোগ্য ধারায়। তারা জামিনও পেয়ে যান।
রায়গঞ্জ কলেজের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ প্যাটেল আগামী শুক্রবারের মধ্যে ওই ঘটনার সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন রাজ্য সরকারকে।
ভারতীয় সময় : ১৩০৫ ঘন্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১২