কলকাতা: কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব উত্তরোত্তর বাড়ছে। একদিকে ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সমাবেশে ‘প্রয়োজনে’ কংগ্রেসকে জোট ছাড়তে ফের বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি।
আবার একই দিনে খোদ মহাকরণে কংগ্রেসের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং পরষদীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী মনোজ চক্রবর্তী হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘হাইকমান্ডের নির্দেশে জোটের স্বার্থে মন্ত্রিত্বে রয়েছি। নির্দেশ পেলে ছেঁড়া চটির মতো মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব। ‘
সোমবার ধর্মতলা মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সমাবেশে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূলের সকল স্তরের নেতারা।
রাজ্যের পৌর নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এদিন কংগ্রেসের সমালোচনা করে বলেন, মানুষের জন্য কাজ করছে সরকার। কিন্তু সিপিএমের পাশাপাশি কংগ্রেস চায় না সরকার ভালো কাজ করুক। কংগ্রেসের একাংশ সিপিএমের ‘বি’ টিম।
ইন্দিরা ভবনের নামকরণ পরিবর্তন নিয়ে কংগ্রেসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাম জমানায় গত ৩৪ বছরে নজরুলকে প্রয়োজনীয় সম্মান দেয়নি বাম সরকার। বর্তমান সরকার দিতে চাইছে বলে এখন ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়েছে সিপিএম এবং কংগ্রেস।
একইভাবে কংগ্রেসের সমালোচনা করে পার্থ চ্যাটার্জি বলেন, কৃষি ও শিল্পের জন্য বর্তমান সরকার দীর্ঘ দিন লড়ছে। এখন হঠাৎ করেই কংগ্রেস কৃষক দরদী হয়ে উঠেছে। সিপিএমের পাশাপাশি কংগ্রেসও উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে। কৃষকদের জন্য তারা এখন ‘কুম্ভীরাশ্রু’ বর্ষণ করছে। প্রয়োজনে জোট ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পারে কংগ্রেস।
এদিন কংগ্রেসের তরফ থেকেও তৃণমূলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি।
মহাকরণে জোট সরকারের মন্ত্রী মনোজ চক্রবর্তী বলেন, রায়গঞ্জ ও মাজদিয়ার ঘটনায় সরকারের মুখ পুড়েছে। সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এতদিন সিপিএম যা করতো এখন তৃণমূল তাই করছে। এভাবে চলতে পারে না। রাজধর্ম পালন করতে হবে। অবিলম্বে সংযত হতে হবে।
তিনি মনে করিয়ে দেন, কংগ্রেস সর্বভারতীয় দল। কংগ্রেস কারও দয়ায় সরকারে আসেনি। মানুষের স্বার্থে জোট করে সরকারে এসেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১২