ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৯ মে ২০২৫, ০১ জিলহজ ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

রাজ্যে ৮ মাসে ২২ কৃষকের আত্মহত্যা, হুগলীতে আত্মহত্যা আলু চাষির

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:২৯, জানুয়ারি ১৮, ২০১২

কলকাতা: ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে রাজ্যে। এবার হুগলীতে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন আরও এক কৃষক।

এ নিয়ে ৮ মাসে ২২ জন কৃষক আত্মহত্যা করলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হরিপাল থানার বন্দীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর খাগড়া গ্রামের বাসিন্দা গনেশ দলুই(৫০) নিজের ৫ কাঠা জমিতে চাষ করতেন। এছাড়াও ১ বিঘা জমিতে ভাগ চাষ করতেন তিনি।

তবে চাষ করা আলু, ধান পাটের দাম না পাওয়াতে তিনি ক্রমশ ঋণ জর্জরিত হয়ে পড়ছিলেন বলে তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে।

স্ত্রী আশা দলুই জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল ৮ টা নাগাদ কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর কাছে রাজ্যে কোনও কৃষক আত্মহত্যার ‘খবর’ না থাকলেও, ঋণের দায়েই যে গনেশ দলুই আত্মহত্যা করেছেন, বিডিওর কাছে সেটা স্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান কাঞ্চন দুলে।

এলাকার মহাজন লাল্টু খাকরাও বলেন, প্রায়শই আমার কাছে এসে ধার করত গনেশ। প্রায় ১০ হাজার টাকা ধার নিয়েছে সে।

লাল্টু খাকরার মত এলাকার আরও অনেক মহাজনের কাছেই গনেশ ধার করেছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রের খবর।

রাজ্য সরকারের কৃষি নীতির ফলে ধান বিক্রি করতে পারছেন না কৃষকরা। বাধ্য হয়েই মহাজনের কাছে ধার করতে হচ্ছে তাদের। ঋণের দায়ে এই মরশুমে এই নিয়ে ২২ জন কৃষক আত্মহত্যা করলেন।

তবে সোমবার পর্যন্ত কৃষক আত্মহত্যার কথা অস্বীকার করেছেন কৃষিমন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। সরকারের এই নীতি আসলে মহাজনী প্রথা ফিরিয়ে আনারই নামান্তর নাকি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।

ভারতীয় সময়: ০১০০ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।