কলকাতা:ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের রানীনগরে গরুপাচারকারী বাংলাদেশি যুবককে নগ্ন করে অমানবিক অত্যাচারের কথা জেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যথেষ্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে ঘটনার পর থেকে ওই যুবকের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বুধবারই অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য পুলিশের ডিজি নপরাজিত মুখার্জিকে বলেছেন বিএসএফর আইজিকে রাজ্য সরকারের এ মনোভাবের কথা জানিয়ে দিতে। ডিজির সঙ্গে সঙ্গে তা জানিয়ে দেন বিএসএফ আইজিকে।
বিএসএফ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, গত শনিবার বেলা ১০টা নাগাদ বেআইনিভাবে সীমান্ত পার হতে গেলে ওই যুবককে থামতে বলা হয়। কিন্তু সে কথা না শুনে বাংলাদেশের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন কাতলামারি সীমান্তের পদ্মার একটি শাখা নদীর ধারে মোহনগঞ্জ ‘কারগিল’ এলকার বিএসএফ জওয়ানরা তাকে ঘিরে ফেলে।
কিন্তু তাকে কেন এরকম মারধোর করা হলো, তার কোনও ব্যাখ্যা বিএসএফ দিতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মারধোরের পর কোনও চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে তাকে সীমান্তে ফেলে রাখা হয় এবং গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়নি। তারপর থেকে ওই যুবকের খোঁজ নেই।
এই ঘটনায় পুলশের কাছেও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছেন ডোমকলের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দেবর্ষি দত্ত। তাই তার নাম ঠিকানা জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে প্রথমে সেলিম খান নাম জানা গেলেও পরে জানা গেছে তার নাম হাবু শেখ। বয়স ২৫। বাড়ি বাংলাদেশের চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার আটরশিয়া গ্রামে। সম্প্রতি সে সীমান্ত পেরিয়ে মোহনগঞ্জে এসেছিল। ওইদিনই বাংলাদেশে ফেরার সময় ধরা পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১২