ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

সিপিএমকে মুখে লিকোপ্লাস্ট লাগাতে বললেন মমতা

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১২

কলকাতা: তৃণমূলের পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনে কলকাতার নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়ামে প্রত্যাশিত ভাবেই ৭ মাসের নিজেদের কাজের ‘সাফল্যের’ খতিয়ান তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। পাশাপাশি এদিনও সিপিএমকে মুখে লিকোপ্লাস্ট লাগিয়ে চুপ করে বসে থাকতে পরামর্শ দিলেন তিনি।



মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত সাত মাসে রাজ্যে নতুন সরকার অনেক কাজ করেছে। ৩৪ বছরে যা বাম সরকার করতে পারেনি। তৃণমূলের সমালোচনা করতে হলে ৩৪ বছর চুপ করে বসে থাকতে হবে। তার পর সমালোচনা করবেন। আপাতত কুৎসা রটানো বন্ধ করুন।

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের বেশির ভাগটাই জুড়ে ছিল হালফিলে আলোড়ন ফেলে দেওয়া শিশু মৃত্যু ও কৃষক আত্মহত্যা নিয়ে। তিনি জোরের সঙ্গে বলেন, চাষের কারণে কোনো কৃষকই আত্মহত্যা করেননি। ব্যক্তিগত ঋণের কারণেই ওই সব কৃষকরা আত্মঘাতী হয়েছেন।

সারের অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির জন্যও তিনি কেন্দ্রের ওপরই দায়ভার চাপিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার সারের দাম বাড়ায়নি। রাজ্য সরকার সারের দাম বাড়িয়েছে, এটা প্রমাণ করতে পারলে আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেব।

তার অভিযোগ, ২০০৯ সালে কেন্দ্র সারের দাম বৃদ্ধি করেছে। সেই সময় বাম সরকার কোনো প্রতিবাদ করেনি। এর জন্য প্রকারান্তরে বাম জামানাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

একই ভাবে শিশু মৃত্যু নিয়ে সংবাদ মাধ্যম ভুল তথ্য দিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। প্রয়োজনে সংবাদের সত্যতা যাচাই করা হবে বলে তিনি জানান।

মমতা বলেন, ‘আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি মালদায় ৮টি সদ্যোজাত শিশু প্রাণ হারিয়েছে। কিন্তু সংবাদ মাধ্যম সংখ্যাটা অনেক বেশি করে দেখাচ্ছে।

তার আমলে রাজ্যে শিশু মৃত্যুর হার ২ শতাংশ কমেছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন। তবে শিশু মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে এর জন্য পরিকাঠামোকে দায়ী করেছেন তিনি। আর এর জন্য ফের একবার ৩৪ বছরের বাম-জামানাকেই দায়ী করেছেন মমতা।

দলের কর্মীদের আরও বেশি করে কাজ করতে তিনি পরামর্শ দেন। একই ভাবে সিপিএমের কুৎসার জবাবে কাজের খতিয়ান দিয়ে জবাব দিতে দলীয় কর্মীদের পরামর্শ দেন তিনি। তেমনি বেশ কিছু নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, রাজ্যে নতুন করে ৩৫০টি হিমঘর তৈরি করা হবে। ১০০ দিনের কাজ সম্পূর্ণ করতে পারলে ২০০ দিনের কাজ দেওয়া হবে। বৃষ্টির জলকে ধরে রাখার জন্য ২০ হাজার পুকুর খনন করা হবে। এতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘন্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।