ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরায় নির্মাণাধীন মৈত্রী উদ্যানে দু’দেশের প্রতিনিধিরা

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১২
ত্রিপুরায় নির্মাণাধীন মৈত্রী উদ্যানে দু’দেশের প্রতিনিধিরা

কলকাতা: ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য ত্রিপুরার চোত্তাখালায় নির্মাণাধীন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যানের কাজে গতি আনতে দু’দেশের এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার সফর করেন। এই উদ্যানটি নির্মাণে সহযোগিতা করছেন রাজ্যের কারিগরি কমিটি ও বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও স্থাপত্য শিল্পীর দল।



এদিন উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই বিধয়ক বাসুদেব মজুমদার, সুধন দাস, জেলাশাসক সৌমিত্র ব্যানার্জি, পূর্তমন্ত্রকের প্রকৌশলী তরুণ কুমার দাস, জেলা বন আধিকারিক সি এল দাস ও পূর্ত মন্ত্রকের স্থপতি সঞ্জীবন দত্ত।

অন্য দিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল ও মুনতাসির মামুন, চিত্রকর হাসেম খান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেলিম খান, বিআরডিকের সাধারণ সম্পাদিকা জন্নত-এ ফেরদৌস, দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় প্রমুখ।

এদিন চোত্তাখালায় ২০ হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত উদ্যানটির জন্য নির্মাণকাজের পরিকল্পনার মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শন করা হয়।

পূর্ত মন্ত্রকের স্থপতি সঞ্জীবন দত্ত বলেন, ‘টিলাগুলিতে ৭টি সেতু নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যে ৩টির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। হবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রর্দশণশালা, গ্রন্থগার, স্মৃতিসৌধ, শিশু পার্কসহ বহু কিছু। প্রস্তাবিত নির্মাণকাজগুলি এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায়। ’

তিনি বলেন, ‘অনুমোদন দ্রুতই আসবে। এখন পর্যন্ত ২ কোটি রুপিরও বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০১০ সালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী দীপু মনি এটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের পর রাজ্য বনমন্ত্রক নানাভাবে সাজিয়ে তুলছে উদ্যানটি। নানা ফুল ও ফলের গাছ লাগানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ‘এখানে গড়ে উঠবে পর্যটকদের থাকার জন্য কটেজ, বিশ্রামালয় ও রেস্টুরেন্ট।

এদিনের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উদ্যানটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব উল্লেখ করে বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক স্থানীয় পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য যেন জোর দেওয়া হয়।

বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলিকে ম্যুরাল ও মুর্তির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের মুক্তিযোদ্ধাদের যতগুলি বেস ক্যাম্প ছিল তার মধ্যে বিলেনিয়ার এই চোত্তাখালার ক্যাম্প থেকেই সর্বপ্রথম মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র অভিযানে যায়। যে কারণেই এই স্থানটির গুরুত্ব অপরিসীম।

এই অঞ্চলের সিপিএম বিধায়ক সুধন দাসের পরিকল্পনাতেই এখানে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি পার্ক গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।