ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

দুটি ঢাকার

কলকাতায় তিন এয়ারলাইনসের প্লেন ওঠানামা অনিশ্চিত

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১২

কলকাতা : বিমান পরিষ্কার, মালপত্র ওঠানো-নামানোর মতো ‘গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং’-এর কাজ কারা করবে এই সমস্যার জেরে বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে তিনটি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসের প্লেন ওঠানামা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

এই তিনটি বিমান সংস্থার মধ্যে দু’টি বাংলাদেশের জিএমজি ও ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ।

অপরটি ভুটানের সরকারি সংস্থা  ড্রুক এয়ারলাইনস। এরা কলকাতা থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং ভুটানের পারোয় নিয়মিত উড়ান চালায়।

কলকাতা নেতাজী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, এতদিন বাইরের যেসব সংস্থা এয়ারলাইনসের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করছিল, ভারত সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী বুধবারের পর থেকে তাদের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, নতুন যে সংস্থাটি গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করার কথা, তাদের সঙ্গে ওই তিনটি বিমান সংস্থা এখনও কোনো চুক্তি করেনি।

‘গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং’ বলতে প্রধানত বিমান পরিষ্কার করা, বিমানে সিঁড়ি লাগানো ও যাত্রীদের মালপত্র নামানো-ওঠানোর কাজ বোঝায়।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী এ বার কোনো বিমানবন্দরে সব বিমান সংস্থাকেই গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করাতে হবে একটি সংস্থাকে দিয়েই। কলকাতার ক্ষেত্রে সেই বরাত পেয়েছে ‘ভদ্র ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি সংস্থা।

কিন্তু ভারতের অভ্যন্তরীণ উড়ানের ক্ষেত্রে ‘গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং’-এর কাজ ভদ্র ইন্টারন্যাশনাল করবে কি না, তা এখন আদালতের বিচারাধীন। কারণ, অভ্যন্তরীণ বিমান সংস্থাগুলো ইতোমধ্যেই এই ব্যাপারে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছে।

কলকাতার বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করায় এয়ার ইন্ডিয়াকে দিয়ে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী ভদ্র ইন্টারন্যাশনাল ছাড়া একমাত্র এয়ার ইন্ডিয়াই পারবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ করতে।

এতদিন  জিএমজি, ইউনাইটেড ও ড্রুক বাইরের সংস্থাকে দিয়ে ওই কাজ করিয়ে আসছে; বুধবার থেকে তাদের বলা হয়েছে, কাজটা করাতে হবে ভদ্র ইন্টারন্যাশনালকে দিয়েই।

কিন্তু বুধবার পর্যন্ত ওই তিন সংস্থার সঙ্গে তাদের কোনো চুক্তি হয়নি বলে ভদ্র ইন্টারন্যাশনালের তরফে জানানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাগুলোর বক্তব্য, সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার, সদর দফতর থেকেই তা নেওয়া হবে।

কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা বি পি শর্মা বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব নতুন গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করতে বলা হয়েছে ওই তিন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে। তত দিন পর্যন্ত পুরনো কর্মীদের দিয়েই যাতে কাজ করানো যায়, তার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময় : ১৩০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।