ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

নির্বাচনের আগে ফের বামদের নবান্ন অভিযানের ডাক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
নির্বাচনের আগে ফের বামদের নবান্ন অভিযানের ডাক নির্বাচনের আগে ফের বামদের নবান্ন অভিযানের ডাক

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার নির্বাচন আসন্ন। যদিও নির্বাচনের সময়সূচি এখনও ঘোষণা হয়নি।

তবুও ময়দানে নেমে পড়েছে রাজ্যের সব রাজনৈতিক দল। তাই কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে ময়দানে নামছে বাম সংগঠনগুলো। বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক ভবন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে বামদের ছাত্র ও যুবরা।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। অভিযানে মূলত থাকবেন বামদের ছাত্র ও যুবর ১০টি সংগঠন। ‘শিক্ষা দাও, কাজ দাও, হাল ফেরাও, লাল ফেরাও’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে সংগঠনগুলো।

বামদের এ নবান্ন অভিযানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে নির্বাচনে তাদের জোটসঙ্গী কংগ্রেসকেও। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের দুই শাখা সংগঠন ‘যুব কংগ্রেস’ও তাদের ছাত্র সংগঠন ‘ছাত্র পরিষদ’। এছাড়া, অন্য সহযোগী সংগঠনের কাছেও আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন বামদের যুব নেতৃত্বরা।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কলকাতার বইপাড়া কলেজ স্ট্রিট থেকে বামদের এ জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে মিছিল মহাত্মা গান্ধী রোড ধরে বড়বাজার হয়ে হাওড়া ব্রিজ পেরিয়ে নবান্নের দিকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

বামদের দাবি, গতবারের মত পুলিশ দিয়ে প্রশাসন সংঘাতের পথে গেলে যা ঘটবে, তার দায় মমতার সরকারকেই নিতে হবে।

সিপিএম যুব সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র বলেন, ‘তৃণমূল এবং বিজেপি দুটোই রাজ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। কেন্দ্র এবং রাজ্য দুইয়ের পরিস্থিতি মানুষ দেখছে। কারো কাছে কর্মসংস্থান নিয়ে আশা করা অর্থহীন; বরং সরকার বদল হলেই রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন হবে। ’

পাশপাশি সায়নদীপ হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, ‘শিক্ষা ও কাজের দাবিতে গতবারের নবান্ন অভিযানে পুলিশের মদতে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা মিছিলে বোমা ছুঁড়েছিল। পুলিশও লাঠিচার্জ, জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছিল মিছিলকারীদের ওপর। এবার তৃণমূল সরকার সে চেষ্টা করলে, তার ফল অন্যরকম হবে। আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ করাটাই লক্ষ্য। ’

মূলত বিধানসভা ভোটের আগে যেখানে বিজেপি-তৃণমূল প্রচার অভিযান অনেক আগে থেকে শুরু করেছে। এ বিষয়ে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে বামরা। তাই বৃহস্পতিবার পূর্ণশক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে চায় বাম-কংগ্রেসের ছাত্র-যুব সংগঠনগুলো। ’

এখান থেকেই তারা বুঝে নিতে চাইছে তাদের সমর্থনযোগ্যতা রাজ্যবাসীর কাছে এখনও কতটা আছে। কারণ এরপরই তারা ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ করতে চলেছে তারা। ওই সমাবেশে ৮টি বাম দলের নেতৃত্ব ছাড়াও হাজির থাকবেন কংগ্রেস নেতারাও।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
ভিএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।