কলকাতা : পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থার রাজনীতিকরণ নিয়ে সরব হলেন ভারতের গ্রামন্নোয়নমন্ত্রী জয়রাম রমেশ।
তিন দিন মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা পরিদর্শনের শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিকরণ পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েতের সমস্যা।
তিনি বলেন, এখানে খুব দারুণ জিনিস দেখলাম, ৩০-৩৫ বছরের যুবকেরা বিডিও হয়ে এসেছে। ডাক্তার, চার্টার, ম্যানেজমেন্ট নানা বিভিন্ন বিভাগ থেকে তারা এসেছে। এরকম অন্যকোনো প্রদেশে দেখিনি। এটা খুব পজিটিভ দিক।
বলরামপুরের বিডিও কোনো সিকিউরিটি নেন নি, যদিও সেটা মাওবাদী এলাকা। এদের পঞ্চায়েতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর গ্রাম সরোজগার যোজনাকে সঠিকভাবে কার্যকরী করতে হবে।
পঞ্চায়েত ব্যবস্থার উন্নতি নিয়ে জয়রাম বলেন, ‘তিনটি জেলায় পঞ্চায়েতের কাজের উন্নতির জন্য অতিরিক্ত এক হাজার কর্মী নিয়োগ করা হবে। তাদের বেতনের ৭৫ শতাংশ কেন্দ্রীয় সরকার এবং ২৫ শতাংশ রাজ্য সরকার দেবে। তবে লোকাল ছেলেমেয়েদের এই কাজ দিতে হবে। ’
তিনি বলেন, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার অবস্থা মাওবাদী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডের ১৭টি জেলা, ওড়িষ্যার ১৮টি জেলা এবং ছত্রিশগড়ের ১০টি জেলার মত খারাপ নয়। ভারতের ৭৮টি জেলা এতে আক্রান্ত, তার মধ্যে ৩টি পশ্চিমবঙ্গের।
এই অঞ্চলে কাজ করতে গেলে আদিবাসীদের সম্পর্কে খুব সহানুভূতিশীল হতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন, তিনটি ‘পি’-পলিটিকস, পিউপিল (জনগন) ও পলিসির মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। তিনটি জেলায় জলের ব্যবস্থা উন্নতি করতে হবে। সেগুলো হল- দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া। প্রতিটি জেলার জন্য ৩০ লাখ রুপি করে ব্যয় করা হবে।
বাংলাদেশ সময় : ০৯৪৫ ঘন্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১২