ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

তীব্র গরমে ভরসা ডাবসহ ঠাণ্ডা পানীয়

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২১
তীব্র গরমে ভরসা ডাবসহ ঠাণ্ডা পানীয় তীব্র গরমে ডাবসহ ঠাণ্ডা পানীয় ভরসা। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): ঋতুরাজ বসন্তের মাঝামাঝি সময় চলছে, প্রকৃতির নিয়মে এখন মৃদু বাতাস বওয়ার সময় আর সেই সঙ্গে কালবৈশাখীর দাপট দেখ যাওয়ার কথা, এটা এই সময়ে বৈশিষ্ট্য। কিন্তু পরিবেশ দূষণ ও ভূষ্ঞায়নের কারণে এখন প্রকৃতির নিয়মেও সেই ছন্দ নেই।

ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার তাপমাত্র এই মৌসুমে ইতোমধ্যে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে। এখনো সেই ভাবে শহরে বৃষ্টির দেখা নেই। যদিও রাজ্যের অন্যান্য জায়গার উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী শনিবার (৩ এপ্রিল) দিনের তাপমাত্রার পারদ সর্বোচ্চ ৩৬ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকবে। তবে বাস্তবে গরম অনুভূত হবে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মত। বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ১ শতাংশ। আগামী সাত দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্র যথাক্রমে ৩৭ এবং ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ছয় শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।

গরমের দাপট বেশি হলেও দৈনন্দিন কাজের জন্য সাধারণ মানুষদের বাড়ির বাইরে বের হতে হচ্ছে। এই অবস্থায় তীব্র গরম ও রৌদ্রের প্রখর তাপ থেকে বাঁচতে ছাতা ও তেষ্টার জন্য ডাব, নানা ধরনের সোডা পানি ও আখের রসের উপর ভরসা করছেন পথ চলতি মানুষজন।

এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি চাহিদা ডাবের পানির। আগে যেখানে আগরতলার কামান চৌমুহনী এলাকায় কিছু ডাবের স্থায়ী দোকান ছিলো। সারা বছর ধরে এই দোকান গুলোতে ডাব বিক্রি করা হয়। কিন্তু গরম পড়তেই এখন শহরের মোড়ে মোড়ে ডাব পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রি ভালই হচ্ছে প্রতিটি দোকানে বিশেষ করে দুপুর বেলায় দোকানগুলিতে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এবছর একটি ডাব নূন্যতম ৩০রুপি থেকে শুরু হয়ে ৬০রুপি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। মূলত ডাবের আকারের উপর নির্ভর করছে দাম। অন্যান্য সামগ্রীর মত ডাবের দামও কিছুটা চড়া।

ডাবের দোকানিরা জানান আগরতলা শহরে আগে যত সংখ্যক নারিকেল গাছ ছিলো তার অর্ধেকও এখন নেই। শহরের বড় বড় বাড়িগুলি ভাগ হয়ে গড়ে উঠছে উচু উচু আবাসন ফলে কাটা পড়ছে গাছ। তাই এখন রাজ্যে অন্যান্য জেলার ডাবের উপর ভরসা করতে হচ্ছে।

আগরতলায় মূলত দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া সাব্রুম ইত্যাদি এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় ডাব আসছে এবং পশ্চিম জেলার জিরানীয় রানীরবাজার এলাকা থেকেও সামান্য পরিমাণ ডাব আসছে। এই সব কারণে ডাবের দাম দিন দিন বাড়ছে বলে জানান।

আগরতলার কামান চৌমুহনীতে ডাব কিনতে আসা সজল দাস নামে এক যুবক বলেন আগে যে ডাব ২০ রুপিতে পাওয়া যেতো এখন এই আকারের ডাব ৪০ রুপি হয়ে গিয়েছে। গরমের মধ্যেও প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। তাই শরীরের কথা চিন্তা করে বেশি দাম দিয়ে ডাব খেতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২১
এসসিএন/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।