ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ফের কী পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পাবে কাশ্মীর?

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
ফের কী পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পাবে কাশ্মীর?

কলকাতা: জম্বু ও কাশ্মীরকে আবার পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার বিবেচনা করছে ভারত সরকার। সে কারণেই বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ডাকা হয়েছে।

 

জানা গেছে, মোট ১৬টি রাজনৈতিক দলকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন মেহবুবা মুফতি, কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী কবীন্দ্রর গুপ্ত এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপির প্রধান রবীন্দ্র রায়না, ফারুক আবদুল্লাহসহ অন্যান্যরা। এদের মধ্যে অনেকেই বুধবার (২৩ জুন) রাতেই দিল্লি পৌঁছেছেন। জম্বু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা কাশ্মীরের পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) সভানেত্রী মেহবুবা মুফতি জানিয়েছিলেন, বৈঠকে তারা আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এ দিনের বৈঠকে তারা যোগ দিতে পারেন। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ব মর্যাদা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাশ্মীরের ৭ রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশন (পিএজিডি) বৃহস্পতিবারের বৈঠক থাকছে বলে আগেই জানিয়েছে।

চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারি মাসে লোকসভায় ‘জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠ বিল’ অর্থাৎ সংশোধনী খসড়া জমা দেওয়া সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, ‘যখন কাশ্মীর বিভক্ত করা হয়েছিল, তখন কোথাও লেখা ছিল না যে ‘ভূস্বর্গ’ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে না। সঠিক সময়ে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে জম্মু ও কাশ্মীরের।

এপরই কংগ্রেসের নেতা দিগ্বিজায় সিংহ পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ২০২৪ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস যদি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে তাহলে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে। তারপরই কংগ্রেসের সঙ্গে পাকিস্তানের গোপন আঁতাতের অভিযোগ তোলে বিজেপি। তবে, জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আব্দুল্লাহ কংগ্রেসের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।

২০১৯ সালের আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জন্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনে লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মীর নামে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়া হয়। যদিও দিল্লি এবং পুদুচেরির মতো কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরেও বিধানসভা রাখার কথা বলা হয়েছে ওই আইনে।

এ বছর নভেম্বরে সেখানে বিধানসভা ভোট হতে পারে বলে সরকারের একটি সূত্রের খবর। বিষয়টা সরকারিভাবে ঘোষণা না হলেও সম্ভবত সে কারণেই বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ডেকেছে মোদী সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।