কলকাতা: নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কলেজে-কলেজে অশান্তি এড়াতে বিশেষ কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। এ কৌশল অনুযায়ী কলকাতা পুলিশের আওতাধীন এলাকায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব কলেজে এখনও নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি, সেসব কলেজে নির্বাচন আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। ঠিক হয়েছে, কয়েকটি কলেজকে নিয়ে গ্রুপ তৈরি করে একই দিনে ভোট করা হবে।
রায়গঞ্জ থেকে মাজদিয়া অধ্যক্ষ নিগ্রহ, ভাঙচুরের প্রতি ক্ষেত্রেই নির্বাচনকে ঘিরেই এ অশান্তির সূত্রপাত। নির্বাচন ঘিরে কলেজে কলেজে সংর্ঘষ বন্ধ করতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার।
সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, একই দিনে জেলাগুলোতে কলেজে ভোট করতে হবে। এ প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার বৈঠকে বসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও কলকাতা পুলিশের কর্তারা।
বৈঠকে ঠিক হয়েছে, কলকাতা পুলিশের আওতাধীন এলাকায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব কলেজে এখনও ছাত্র সংসদের নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি, সেখানে নির্বাচন আপাতত স্থগিত থাকবে। বেশ কয়েকটি কলেজ নিয়ে একটি করে গ্রুপ তৈরি করা হবে। তারপরে নির্দিষ্ট একটি গ্রুপের কলেজগুলোতে একই দিনে নির্বাচনী প্রক্রিয়া চালানো হবে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন বৈঠক করে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস একথা জানিয়ে বলেন, এ একই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলির শ্রীরামপুরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় একশ’টি কলেজে। কলেজের অধ্যক্ষদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলতে। গ্রুপ তৈরি করে নির্দিষ্ট সংখ্যক কয়েকটি কলেজে ভোট করা হলে, নিরাপত্তা আরও আঁটোসাটো করা যাবে।
এর ফলে অশান্তি অনেকটাই কাটানো যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে কলকাতার শিক্ষকমহলের পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১২