কলকাতা: রাজনৈতিক মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করেছে ভারতের নেহরু-গান্ধী পরিবারের আরেক প্রজন্ম।
বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলীতে দু’ ছেলেমেয়েকে নিয়ে নির্বাচনী সভামঞ্চে ওঠেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
এদিন ছেলে রেহান ও মেয়ে মিরায়াকে পাশে দাঁড় করিয়ে ওই সভায় ভাষণ দেন রাজীব তনয়া।
মেয়ে একটু আড়ষ্ট থাকায় মা এক সময় স্নেহের ছলে তাকে আলতো ধাক্কাও মারেন। মঞ্চে ছেলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলেও তার সপ্রতিভতা নজর কেড়েছে।
তবে দু’জনকেই জনতার উদ্দেশে হাত নাড়তে দেখা গিয়েছে, পরিবারের খাসতালুক আমেথিতেও ছেলেমেয়েকে সঙ্গে নিয়েই প্রচারণা চালান প্রিয়াঙ্কা।
নিজে ২০০৪ সাল থেকেই কংগ্রেসের হয়ে প্রচার শুরু করলেও ছেলেমেয়েকে জনতার নজরের বাইরেই রেখেছিলেন সোনিয়া-কন্যা। এমনকি আলোকচিত্রীদেরও তাদের ছবি তুলতে দেননি।
এ প্রথম শুধু জনতার সামনে নয়, একেবারে রাজনীতির মঞ্চেই আবির্ভূত হল নেহরু-গান্ধী পরিবারের ষষ্ঠ প্রজন্ম। স্বাভাবিকভাবেই তাদের ঘিরে উত্তরপ্রদেশে জনতার উচ্ছ্বাস ছিল ব্যাপক। তাই আকর্ষণের নিরিখে এদিন তাদের মা প্রিয়াঙ্কা একটু পিছনেই চলে গিয়েছিলেন।
জনসভায় প্রিয়ঙ্কা বলেন, উত্তরপ্রদেশের নেতারা জনতার টাকায় পার্ক, ইমারত বানাচ্ছেন। লুঠ করছেন। কৃষিতে উন্নত হয়েও ২২ বছর ধরে পিছিয়ে রয়েছেন তারা৷ ২২ বছর পর বদলের সুযোগ এসেছে। ১৯ তারিখের ভোটে যেন সেই ভাবনা-চিন্তা করেই ভোট দেন জনগণ।
পুরনো কংগ্রেসিরা অবশ্য রেহান-মিরায়াকে দেখে উল্টালেন স্মৃতির অ্যালবাম। তাদের মনে পড়ে গেল প্রয়াত রাজীব গান্ধী তো এভাবেই ছোট্ট রাহুল-প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে জনসভায় আসতেন।
৮৪-৮৫ সালের কথা মনে পড়ে গেল আমেথির প্রবীণ বাসিন্দা বাবুরামের।
তিনি বলেন, আরে এখানেই তো রাজীবের দুই ছেলেমেয়ে রাজনীতির প্রথম পাঠ নিয়েছিল। আসলে ভারত তো এটাই, আজ দেখলাম পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১২