কলকাতা: অকালেই চলে গেলেন দুই বাংলার জনপ্রিয় কবি জয়দেব বসু। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে নিজ বাসভবনে তার মৃত্যু হয়।
মাত্র ৫০ বছর বয়সী এই কবি রেখে গেছেন স্ত্রী ও একমাত্র পুত্রকে।
জয়দেব বসুর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মেঘদূত’। প্রথমটিতেই হয়েছিলেন বিখ্যাত। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ ‘ভ্রমণকাহিনী’ ও ‘ভবিষ্যৎ’।
শেষ লিখেছিলেন ‘সাইকোপ্যাথ’। তার দুটি উপন্যাস ‘উত্তরযুগ’ ও ‘লুপ্ত ন্যাসপাতির গন্ধ’ বেশ সাড়া জাগিয়েছিল পাঠকমহলে।
কবিতার জন্য তিনি সুকান্ত পুরস্কার ও শক্তি চট্টোপাধ্যায় পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন।
জয়দেব বসুকে শেষ দেখা দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন কবি শঙ্খ ঘোষ, কবি ভূমেন্দ্র গুহ, গৌতম চৌধুরী, কৃষ্ণা বসু, রাহুল পুরকায়স্থসহ একাধিক তরুণ কবি সাহিত্যিকরা।
এছাড়াও এসেছিলেন দমদম মতিঝিল কলেজের তার প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা। এই কলেজেই তিনি অধ্যাপনা করতেন।
শুক্রবার বেলা ১০টায় তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় সিপিএম’র রাজ্য দফতর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে। সেখানে সিপিএম’র রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু ও অন্যরা তার মরদেহে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নন্দন পত্রিকার দফতরে। পরে বাংলা আকাদেমী ঘুরে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজে তার ইচ্ছা অনুসারে দেহদান ও চক্ষুদান করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১২