কলকাতা: গত ৩৫ বছরের বাম আমলে পরীক্ষায় এমন নকলের উৎসব হয়নি। কিন্তু নতুন সরকারের আমলে জেলায় জেলায় মাধ্যমিকের ইংরেজি পরীক্ষায় অবাধে নকল সরবরাহের ঘটনা ঘটছে।
কোথায় হয় না! যদিও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি চৈতালি দত্ত উদাহরণ দিতে গিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে টেনে আনলেন। তিনি সাফাই গেয়ে বললেন, কোথায় এই ধরনের ঘটনা ঘটে না? বাংলাদেশে কোনওদিন হয়নি? কী করা যাবে? পর্ষদের দায় তো নকলকারীদের ধরা নয়! সে কাজ তো পুলিশের।
সোমবার কোথাও গাছ থেকে নকল সটান পরীক্ষাকেন্দ্রে পাচার করা হয়। কোনও সাহসী আবার কার্নিশে উঠে অবলীলায় সরবরাহ করছে নকল। অবাধে গণটোকাটুকির ছবি দেখা গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর, করণদিঘী, সেখান থেকে থেকে চোপড়া, সর্বত্র অবাধে চলেছে নকল বিলি।
সব সম্পূর্ণ হওয়ার পর চোপড়ার রামগঞ্জ হাইস্কুল চত্বর থেকে গ্রেফতার হয়েছে ২ জন। এর মধ্যেই স্থানীয় মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। যার জেরে আহত হয়েছেন ১জন কনস্টেবল।
মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির নবগ্রাম কিংবা পুরন্দরপুরেও পরীক্ষা চলাকালীন ব্যাপক গণটোকাটুকি চলল। মালদা ইংরেজবাজারের সাত্তারি হাইস্কুলেও ব্যাপক গণটোকাটুকি হয়েছে। অবাধে চলেছে নকল সরবরাহ।
আবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর মণ্ডলপাড়া হাইস্কুল থেকে ঘোষ ইনস্টিটিউটেও ছিল সেই একই ছবি। চৈতালিদেবী এদিন এও বলেন, টোকাটুকির খবরে বিস্মিত নয় পর্ষদ। কারণ এতো নতুন নয়! জেলখানা বানিয়ে মাধ্যমিক হয় নাকি?
তাহলে নকল বন্ধ হবে কী করে? তার উপায় না বাতলে সুস্থ সাংবাদিকতার ক্লাসও নিলেন পর্ষদ সভাপতি। পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব যার, তিনিই সাংবাদিকদের বোঝালেন, কোনটা খবর, কোনটা খবর নয়!
পর্ষদ আম জনতার শুভবুদ্ধির ওপর আস্থাশীল। কিন্তু নকল নিয়ে পর্ষদ সভাপতির ব্যাখ্যায়, কোন শুভ বুদ্ধির উদয় হবে? উল্টে নকলকারীরা উত্সাহিত হবে না তো? আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১২