নয়াদিল্লি : অবসান হলো ৫ দিনের স্নায়ুযুদ্ধের। ভারতের রেলমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন দীনেশ ত্রিবেদী।
যদিও তিনি নিজে এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানাননি। মুখ খোলেনি প্রধানমন্ত্রীর দফতরও।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দীনেশ ত্রিবেদী পদত্যাগ করেছেন। পরবর্তী রেলমন্ত্রী হচ্ছেন মুকুল রায়।
দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার পর্যন্ত কংগ্রেসকে সময়সীমা বেধে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
রোববার সকালে দীনেশ ত্রিবেদী জানান, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দেশ না পেলে তিনি ইস্তফা দেবেন না।
কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়াতে মুকুল রায়কে সঙ্গে নিয়ে রোববারই দিল্লি রওনা হন মমতা ব্যানার্জি। দমদম বিমানবন্দরে তিনি জানান, দীনেশ ত্রিবেদীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তিনি ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
গত কয়েকদিন ধরেই দীনেশ ত্রিবেদী বলছিলেন, তার কাছে দলের স্বার্থের আগে রেল। রোববার রাতে তিনি জানান, দলের অনুগত সৈনিক হিসাবেই তিনি থাকতে চান।
উত্তরপ্রদেশে ভোটের ফল বেরুনোর পর থেকেই সমাজবাদী পার্টিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আনার চেষ্টা করছিল কংগ্রেস।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সমর্থন হাতছাড়া করতে চায়নি তারা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ফলে দর কষাকষির রাজনীতিতে আরো একবার নিজের মতামত প্রতিষ্ঠা করতে পারলেন মমতা।
রেলমন্ত্রক নিয়ে বিবাদের মধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার রাস্তায় আসতে চাইছিলেন তৃণমূল নেত্রীও। কারণ, রাজ্যের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতির জন্য এখনও তাকে কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়েই থাকতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফার পর কংগ্রেসও বলার সুযোগ পেল, প্রধানমন্ত্রীকে শরিকি চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে হয়নি। অন্দরমহলের এই বিবাদ তৃণমূল নিজেরাই মিটিয়ে নিয়েছে।
দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা কংগ্রেস ও তৃণমূল দু’পক্ষেরই মুখ রক্ষার পথ প্রশস্ত করে দিল। তবে গত কয়েকদিন ধরে বিদ্রোহের পথে হাঁটা দীনেশ ত্রিবেদী হঠাৎ করে কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন, তা নিয়ে জল্পনা এখন তুঙ্গে। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, এই ঘটনার জল এখনও অনেকদূর গড়াবে।
বাংলাদেশ সময় : ০১১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১২
আরডি/
সম্পাদনা : আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর