আগরতলা (ত্রিপুরা) : ভারতে দারিদ্র্য কমেছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাঁচ রাজ্যে এ হার বেড়েছে।
দেশের সব রাজ্যে কম-বেশি দারিদ্র্য কমলেও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাঁচ রাজ্যে বেড়েছে। রাজ্যগুলো হলো- আসাম, মনিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম ও নাগাল্যান্ড। তবে ত্রিপুরায় এ হার কমেছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০০৪-০৫ সালে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ছিল ৪০ দশমিক ৭২ কোটি।
২০০৯-১০ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪ দশমিক ৪৭ কোটি। এ হিসাবে দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে।
এ সময়ের মধ্যে গ্রামে দারিদ্র্য কমেছে ৮ শতাংশের বেশি। আর শহরে কমেছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় যে রিপোর্ট তৈরি করেছে তা সম্পূর্ণটাই করা হয়েছে তেন্ডুলকর কমিশনের সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে।
এ তত্ত্ব অনুযায়ী একটি পরিবার বছরে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে কত টাকা খরচ করে তা দিয়েই মাপা হয় তার দারিদ্র্যের মাত্রা।
আগে ভারতে দারিদ্র্য মাপার মাপকাঠি ছিল একজন লোক বা একটি পরিবার দিনে কতবার খাবার গ্রহণ করে তার ওপর ভিত্তি করে।
যোজনা কমিশনের রিপোর্ট বলছে, দেশে ৫০ শতাংশ কৃষক, ৪০ শতাংশ শ্রমিক, মুসলমানদের ৩৫ শতাংশ, উপজাতিদের মধ্যে ৪৭ শতাংশ দরিদ্র।
সব চেয়ে উদ্বেগের বিষয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাঁচ রাজ্যে দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়ায়। যদিও এর মধ্যে ত্রিপুরা নেই কিন্তু এ রাজ্যের মানুষের আয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব রাজ্যের মধ্যে কম বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। এমনকি দেশের জাতীয় গড়ের চেয়েও ত্রিপুরার মানুষের আয় কম।
বাংলাদেশ সময় : ১৩২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১২
টিএস
সম্পাদনায় : ওবায়দুল্লাহ সনি, নিউজরুম এডিটর/ আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর