ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

রাজ্যসভার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াল কংগ্রেস

কলকাতা ব্যুরো | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১২

কলকাতা : অবশেষে আবারোও জোটশরিক তৃণমূলের চাপের কাছে নতিস্বীকার করলো কংগ্রেস হাইকমান্ড। পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার জন্য প্রার্থীপদ প্রত্যহার করে নিল তারা।



গত কয়েকদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে এরকম একটা কথা শোনা যাচ্ছিল, কংগ্রেস রাজ্যসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাদের একমাত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন।

বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লির কংগ্রেস হাইকমান্ডের নির্দেশে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে রাজ্য কংগ্রেস। এদিনই বিকাল ৩টার মধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হচ্ছে।

বিশেষ সূত্রে খবর, হাইকমান্ড সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশে সেই মনোনয়নপত্র তুলে নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে বুধবার চারজনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে হাইকমান্ডকে জানান। এদের মধ্যে রয়েছেন প্রণব মুখার্জি, শাকিল আহমেদ, প্রদীপ ভট্টাচার্য ও কুন্তিয়া। জোট রাজনীতিতে জটিলতা কমাতেই এই প্রস্তাব।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কংগ্রেস প্রার্থীর জয়কে সুনিশ্চিত করতে ও উত্তরপ্রদেশসহ ৫ রাজ্যের ভোটে ভরাডুবি হওয়ার পর ইউপিএর বড় শরিক তৃণমূলকে সাথে পেতেই এই সিদ্ধান্ত।

যদিও কংগ্রেস হাইকমান্ডের এই নির্দেশে একদমই খুশি নয় রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। তারা মনে করছেন এতে কংগ্রেসের সাধারণ কর্মীদের মধ্যে আবারো অসন্তোষ সৃষ্টি হবে।

ক’দিন আগেই আব্দুল মান্নান তার মনোনয়ন জমা দেন। কংগ্রেসের জেতার জন্য নিজেদের ৪২টি ভোট নিশ্চিত। আর বাকি যে কটি ভোট লাগবে, তা যদি বামদের দিয়ে দেয় তবে তারা জিতে যাবে।

সে ক্ষেত্রে জোট নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাঁচজন প্রতিনিধিত্ব করতে পারে রাজ্যসভায়। তার মধ্যে তৃণমূল-কংগ্রেস জোটের চারটি আসন। আর বামদের একটি।

এরইমধ্যে তৃণমূল এই চারটি আসনের জন্য চারজনকে দাঁড় করিয়েছে। কংগ্রেস প্রথম থেকে দর কষাকষি করে যদিও একজনকে দাঁড় করিয়েছিল তাকে সরিয়ে নিতে হচ্ছে তৃণমূলের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে। কারণ এই মুহূর্তে কংগ্রেস কেন্দ্রে প্রচুর চাপে রয়েছে, তাই তার জোটকে চটাতে চায় না।
রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী ও মুকুল রায়কে নিয়ে যে ‘পরিকল্পিত’ নাটক হয় তাতে জোটের চেহারা সাধারণের কাছে পরিস্কার হয়ে যায়। এবার আবার রাজ্যসভার প্রার্থী নিয়ে কোন নাটক যাতে না হয় তাই এই সিদ্ধান্ত হাইকমান্ডের।

দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত শাকিল আহমেদ এদিন বলছেন, জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। আমাদের প্রার্থীর জেতার মতো প্রয়োজনীয় ভোট ছিল না।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১২

আরডি
সম্পাদনা : আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।