করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক, নার্সসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। এ বিষয়টি মাথায় রেখে গ্রামীণ ফেবরিকস অ্যান্ড ফ্যাশনস লিমিটেড পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) তৈরি করছে।
২০ হাজার পিস উচ্চ গ্রেডের পিপিইসহ মোট ৫০ হাজার পিস পিপিই তৈরি করে সরবরাহের জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছে গ্রামীণ ফ্যাব্রিক্স অ্যান্ড ফ্যাশন্স। তারা গ্রামীণ টেলিকমের আর্থিক সহায়তায় এ উৎপাদন করে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে এসব পিপিই কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, স্বাস্থ্য বিভাগ, হযরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, স্যার সলিমুল্লা মেডিক্যাল কলেজ ও মিডফোর্ড হাসপাতাল, খুলনা শিশু হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেড, উত্তরা উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, ডি এস কে হাসপাতাল, সুইস কন্টাক্ট বাংলাদেশ, উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনসহ (বিএমএ) প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়েছে।
গ্রামীণ টেলিকম যেসব স্বাস্থ্য রক্ষাকারী সামগ্রী এখানে উৎপাদন করতে পারছে না সেগুলো বিদেশ থেকে আনার পদক্ষেপ নিয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে দুই লাখ সার্জিক্যাল মাক্স, ৫০ হাজার এন-৯৫ মাস্ক, ৫০ হাজার হ্যান্ড গ্লাভস ও ১০ হাজার সেফটি গগলস তাদের হাতে এসে পৌঁছাবে। এ জরুরি সামগ্রীগুলো দেশের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হাতে পৌঁছানোর জন্য গ্রামীণ টেলিকম উদ্যোগ নিয়েছে।
যেসব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও চিকিৎসার কাজে নিয়োজিত তাদের কাছে এসব সামগ্রী সরকারি নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করে দেওয়া হবে। যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছে এসব সামগ্রীর অভাব আছে তারা তাদের প্রয়োজনের কথা জানিয়ে রাখার জন্য ইমেইলে [email protected] গ্রামীণ টেলিকম অনুরোধ জানাচ্ছে। প্রয়োজনীয়তা অন্যের চাইতে বেশি তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও সংক্রমণ রোধে সারাদেশে শিল্প প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। লক ডাউনের ফলে দেশের বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। দুস্থ মানুষকে দু’বেলা খাবার সংস্থানের জন্যও কর্মসূচি গ্রহণ করেছে গ্রামীণ টেলিকম। এ কর্মসূচির অধীনে প্রাথমিকভাবে দেশের আড়াই হাজার দুস্থ পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের কেউ অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছ থেকে সাহায্য পায়নি। এ আড়াই হাজার পরিবারকে করোনা দুর্যোগ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিয়োমিত খাবার সরবরাহের কর্মসূচি নিয়েছে গ্রামীণ টেলিকম। দেশব্যাপী গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানসমূহের স্থানীয় অফিসের কর্মচারী-কর্মকর্তারা তাদের এলাকার নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এ আড়াই হাজার পরিবার বা ১০ হাজার মানুষের এ মহামারি শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিনের খাবার অর্থ যোগান দিচ্ছে তিনটি গ্রামীণ প্রতিষ্ঠান, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট এবং গ্রামীণ কল্যাণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২০
আরআইএস/