ঢাকা: দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) তাদের হাতে নিয়োগ ও সুপারিশপত্র তুলে দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
এ উপলক্ষে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া দুই হাজার ৬৫ জন এবং এনটিআরসির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকতার জন্য সুপারিশ প্রাপ্ত ৩৪ হাজার ৭৩ জন শিক্ষককে নিয়োগ দেন।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষার মানে যে পরিবর্তন আনতে চাইছি, তাতে সব থেকে বড় ভূমিকা শিক্ষকের। তাই বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের আরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এখন আমাদের দেশ প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়েছে। আমাদের শিক্ষকদের বলব প্রযুক্তিকে কাজের হাতিয়ার করে নিন, তাহলে আরও ভালো হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রাক চাকরির যে প্রতিবেদন, তা এখনও চলমান। তবে করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে শর্তসাপেক্ষে এই শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তবে অবশ্যই প্রত্যেককে নিরাপত্তা ছাড়পত্র দিতে হবে, নয়তো নিয়োগ স্থায়ী হবে না। বর্তমানে এটি শর্ত সাপেক্ষে নিয়োগ। এছাড়া বেশকিছু প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি। তবে শূন্য পদে তাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই অর্থনীতিতে একটা বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বিদ্যালয়ে স্বশরীরে পাঠদান ব্যহত হয়েছে। তবে ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। আজ যেসব শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ পাচ্ছেন, এই যোগ্য শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ন্যূনতম মান নির্ধারিত হবে বলে আমি মনে করি। এছাড়া শিক্ষকদের শুধুমাত্র পাঠক্রমের মধ্যে আটকে থাকলে হবে না, বরং গতানুগতিকতার বাইরে এসে শিক্ষার্থীদের শেখাতে হবে। তাদের উন্নত মানসিকতার দর্শন শেখাতে হবে। দক্ষ হতে হবে এবং টেকসইভাবে গড়ে তুলতে হবে আমাদের সন্তানদের। মনে রাখতে হবে যে, শিক্ষকতা কোন গতানুগতিক পেশা নয়, এটা একটি ব্রত।
তথ্যমতে, পুলিশ ভেরিফিকেশন চলা অবস্থায় সারাদেশের মোট ৩৪ হাজার ৭৩ জন প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে নিয়োগের সুপারিশ পত্র ডাউনলোড করবেন। সুপারিশ পত্রে উল্লিখিত তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য নির্বাচিতদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাকি প্রার্থীদের মধ্যে চার হাজার ১৯৮ জনের পুলিশ ভেরিফিকেশনের ভিরোল ফরম না পাঠানো, ৯ জনের প্রতিষ্ঠান সরকারি হওয়া এবং তিন জন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১০ নম্বর শর্ত ভঙ্গ করে মহিলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা শিক্ষক পদে আবেদন করার কারণে নির্বাচিত হননি। ফলে বিভিন্ন কারণে মোট চার হাজার ২১০ প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়নি। যেসব প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়নি, তাদের তালিকা এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেসব নিয়োগ প্রার্থী ভিরোল ফরম পাঠাননি, তাদের আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এনটিআরসিএ অফিসে সরাসরি অথবা রেজিস্টার্ড ডাকযোগে জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১
এইচএমএস/এমএমজেড