ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বিএনপির কাছে লিখিত জবাব চায় ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
বিএনপির কাছে লিখিত জবাব চায় ইসি

ঢাকা: আলোচনায় বসার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) দেওয়া চিঠি প্রত্যাখ্যান করে গণমাধ্যমে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য রাখলেও দলটির কাছে লিখিত জবাব আশা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৯ মার্চ) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

মো. আলমগীর বলেন, সিইসি ইতোমধ্যে বলেছেন, লিখিত চিঠি দিয়েছি, লিখিত উত্তরের আশা করছি। আমরা একটি সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এরপর আবার বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। পরের পদক্ষেপ আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব।

বিএনপি আসছে না, অন্য কোনো দলকে চিঠি দেবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এ নিয়ে আগামীকাল আলোচনা করব। সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য যখন যাকে প্রয়োজন মনে করি, আমরা আলোচনায় বসার জন্য আহ্বান জানাতে পারি।

মির্জা ফখরুল বলেছেন ইসি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না- এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব মতামত আছে। সেটা তো তারা করতেই পারে। আমরা তো আমাদের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আইনিভাবে যা করা সম্ভব, তার কোনোটির চেষ্টায় ত্রুটি করছি না।

সরকারের ইন্ধনের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, আমাদের ইচ্ছা ও শতভাগ সদিচ্ছা আছে। আর কারো ইন্ধন শূন্যভাগও নেই। আমাদের আচরণ, নিরপেক্ষতা এগুলোই আস্থা নিয়ে আসবে।

আরও পড়ুন: ইসির আলোচনার আহ্বানে বিএনপির ‘না’

বিএনপি না এলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না বলে মনে করছেন কি না- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ৪০টি নিবন্ধিত দল আছে এবং এ বছর যারা নিবন্ধন পাবে, সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে সেটাকে আমরা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলবো। তবে বাস্তবতা হলো যে দেশের ইতিহাসে যত নির্বাচন হয়েছে কোনো নির্বাচনেই সবগুলো দল অংশ নেয়নি। কাজেই সেই নির্বাচনগুলোকে অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলা যাবে না।  

তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখবেন ৭০ সালের নির্বাচনে কিন্তু সব দল অংশ নেয়নি। কিছু কিছু দল সেই নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। কাজেই এক দুটি রাজনৈতিক দল অংশ না নিলেই যে অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না, তা নয়। তবে এটি ঠিক যে বড় দলগুলো অংশ না নিলে পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না।

২০১৪ সালে তো বিএনপি আসেনি, সে পথেই যাচ্ছেন কি না- এই প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনে আসা না আসা সংশ্লিষ্ট দলের বিষয়। কোনো দলকে তো জোর করে নির্বাচনে আনার আইনগত অধিকার নেই। তবে হ্যাঁ, কোনো দল যদি পরপর দুইবার নির্বাচন বর্জন করে তাহলে নিবন্ধন বাতিল করে দিতে পারবে কমিশন। কোনো দল না এলে কমিশনের কোনো কিছু করার নেই।

আরেক প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, কমিশন গঠনের পর বিএনপির সঙ্গে তো আমাদের আলোচনা হয়নি। একবার চিঠি দেওয়া হয়েছে, আসেনি। আবার চিঠি দেওয়া হয়েছে, আসেনি। তৃতীয়বার আমরা একটা চিঠি দিলাম। এজেন্ডা যদি তারা লেখেন, তখন আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।  

তিনি বলেন, আমাদের যতটুকু করার আছে আমরা তা করব। আমরা তো আশা করি তারা আসবে। আমাদের আশা অব্যাহত থাকবে। কেবল ভোট নয়, ভোটের পরও যতদিন আমরা থাকব...। বিএনপি না এলে কার লস হবে- এটি আমি বলতে পারব না। এটা জনগণ, ভোটাররা বলতে পারবেন। সব দল এলে আমরা খুশি হব। সব দল এলে সন্তুষ্টি পুরোপুরি থাকবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩

ইইউডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।