ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

পড়ালেখার সময় সবকিছুই যেনো ভুলে যেতাম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৩ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৭
পড়ালেখার সময় সবকিছুই যেনো ভুলে যেতাম ফারিয়া ফতিমা (রোজা)

আমি ফারিয়া ফতিমা (রোজা) পাংশা পাইলট উচ্চ বালিক বিদ্যালয় থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ গোল্ডেন-৫ পেয়েছি। শতকরা ৯১ ভাগ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায়।

পরীক্ষা নিয়ে সবাই কিছুটা ভয়ে থাকে তবুও মনে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস ছিলো আমার। ভালো কিছু করার জন্য মনে অদম্য ইচ্ছাও ছিলো।

আর ছিলো আল্লাহর ওপর আস্থা। আর তাই তো ছোটবেলা থেকেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতাম। রমজান মাসে রোজা রাখতাম।

দুই ভাই-বোনের মধ্যে আমি রড়। আমার বাবা মো. গোলাম ফারুক পেশায় একজন ব্যাবসায়ী। মা মোসাম্মৎ রেহেনা খাতুন মাগুড়াডাঙ্গী আব্দুল মাজেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মা সবসময় খেয়াল রাখতো আমার লেখাপড়ার প্রতি। স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতা তা আছেই।

আমার সকাল শুরু হতো ফজরের নামাজ আদায় করে কোরআন শরীফ পাঠের মাধ্যমে। নিয়মিত ৮-১০ ঘণ্টা লোখাপড়া করেছি। নিজের পড়ালেখার সময় সব কিছুই যেনো ভুলে যেতাম। পড়ার সময় শুধুই পড়‍া, একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান। নিয়মিত অনুশীলন করলে এবং প্রতিটি বিষয় বুঝে পড়লে সাফল্য আসবে এমনটাই আমি মনে করি। মুখস্থবিদ্যা দিয়ে ভালো ফলাফল করা সম্ভব নয়।

৫ম শ্রেণিতে জিপিএ গোল্ডেন-৫ পেয়েছিলাম এবং সেইসঙ্গে ১ম স্থান ছিলো পাংশা থানার মধ্যে। ৮ম শ্রেণিতেও ছিলো গোল্ডেন-৫।  

লেখাপড়ার পাশাপাশি আমি ছবি আঁকা, কবিতা আবৃত্তি করতে পছন্দ করি। গতবছর রচনা প্রতিযোগিতাতে রাজবাড়ী জেলায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলাম আমি।

আমি সবার কাছে দোয়া চাই, আমি যেনো অনেক বড় হতে পারি। আমার পরিবার ও সবার মুখ উজ্জ্বল করতে পারি। আমার দাদুর স্বপ্ন পূরণ করতে পারি। আমার দাদু আব্দুল মালেক মিয়া সবসময় চাইতো, আমি যেনো বড় ডাক্তার হই। আজ আমার দাদু নেই, আমি তার স্বপ্ন পূরণ করতে চাই।  

বাংলাদশে সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৭
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।