ঢাকা: বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ এ দুই মাস গ্রীষ্মকাল। এ সময়ে দেশে প্রচণ্ড গরম পড়ে।
চলমান সময়ে তীব্র তাপদাহের কারণে দিনের বেলায় মানুষের চলাচল অন্য সময়ের চেয়ে অনেকটাই কম। প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছে না কেউ। আর এ সময়টায় শিশু কিশোররা মেতে উঠেছে পানিতে খেলায়। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের শিশু কিশোররা গরমের দিনে বেশ একটা সময় পানিতে খেলা করেই কাটিয়ে দেয়।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর ডেমরা থানাধীন ৪ নম্বর গেট সংলগ্ন কামারগোপ এলাকায় পুকুরের পানিতে বেশ কিছু শিশু কিশোরদের খেলা করতে, সাঁতার কাটতে দেখা যায়। এ সময় লক্ষ্য করা যায়- পানিতে কেউ কেউ সাঁতার কাটছে আবার একজন আরেকজনের কাঁধে উঠে লাফিয়ে পড়ছে, কেউ কেউ দৌড়ে গিয়ে পানিতে ডিগবাজি খাচ্ছে।
ঈদের ছুটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশু-কিশোররা অবসর সময় পার করছে। প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠান্ডা ও সতেজ রাখতে পুকুরের পানিতেই খেলাধুলা করে সময় কাটাচ্ছে তারা।
কামারগোপ এলাকার বেশিরভাগ শিশুই এ পুকুরের পানিতে সাঁতার কাটে। তাদের মধ্যে একজন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রাফি বাংলানিউজকে বলে, ঈদের ছুটির কারণে স্কুল বন্ধ, তাই বন্ধুদের নিয়ে এখানে সাঁতার কাটতে এসেছি। এমনিতেই প্রচণ্ড গরম তাই অনেকক্ষণ যাবৎ সাঁতার কাটছি, এতে শরীর ঠান্ডা লাগছে। এছাড়া বন্ধুদের সঙ্গে মজা করছি, খুব ভালো লাগছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের আশপাশেই দু’টি নদী রয়েছে, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদী। কিন্তু দূষণের কারণে এখন আর নদীতে যাওয়ার অবস্থা নাই। তাই এ পুকুরে স্থানীয়রা ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসে সাঁতার কাটতে, গোসল করতে। বিশেষ করে শুক্রবার দিন এখানে শত শত লোক সাঁতার কাটে। এ পুকুরের পানি পরিষ্কার ও খুবই স্বচ্ছ।
প্রচণ্ড গরমে রাজধানীসহ সারা দেশের মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। কুলি, মজুর, রিকশাওয়ালা, ফুটপাতের দোকানদারদের জীবনযাত্রা অনেকটা থেমে যাওয়ার মতই অবস্থা। অন্যদিকে এ গরমকে কাজে লাগিয়ে আয় করছে শরবতের দোকানদাররা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে আখের রস, ডাবের পানি বিক্রি করছে তারা। কাজের ফাঁকে ফাঁকে সেগুলো খেয়ে শরীর ঠান্ড করছে শ্রমজীবী মানুষরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২২
জেডএ