ঢাকা: যেদিকে তাকাবেন, সেখানেই পোস্টার-ব্যানার। ওপর-নিচ, ডান-বামে সবখানের চিত্রই এক।
এ চিত্র রাজধানীর মিরপুর-১২ নম্বর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত মেট্রোরেলের যতগুলো পিলার আছে সবগুলোতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পোস্টার লাগিয়ে সৌন্দর্য নষ্ট করা হচ্ছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নেওয়া পদক্ষেপ অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের ডিজিটাল বিলবোর্ডের ব্যবস্থা করলেও থামছেই না পোস্টার ও ব্যানার লাগানো। ফলে সৌন্দর্য হারাচ্ছে মেট্রোরেল ও রাজধানী বিভিন্ন ওভার ব্রিজের। রাজধানীতে লাগানো পোস্টার ও ব্যানারের দৃশ্য থেকে প্রতীয়মান হয়, এসব অধিকাংশ পোস্টার ও ব্যানাল লাগানোর সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা জড়িত। কার্যকর তদারকির ব্যবস্থা না থাকায় রাজধানীতে মেট্রোরেল চালু হওয়ার আগেই পিলার দখল করে নিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় বসবাসকারী মোহাম্মদ ওবায়দুল হক, তিনি বাংলানিউজকে বলেন, রাজধানীতে মেট্রোরেল হওয়া এটা আমাদের বাংলাদেশের জন্য যেমন গর্বের তেমনি আমাদের প্রত্যেকটা নাগরিকের জন্য গর্বের বিষয় বলে আমি মনে করি। তবে চালু হওয়ার আগেই এই পিলারগুলোতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পোস্টার লাগিয়ে সৌন্দর্য নষ্ট করতে শুরু করেছে, সরকার মহোদয় যদি পোস্টারকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেন তবে, এই সুন্দর পিলার আর সুন্দর থাকবে না। সচেতন নগরবাসী বলছেন, পোস্টার অপসারণে অভিযানে না করলে পোস্টার লাগানো বন্ধ হবে না। দেয়াললিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইনানুযায়ী, নির্ধারিত স্থান ছাড়া যত্রতত্র পোস্টার-ব্যানার লাগানো যাবে না। শর্ত ভঙ্গ করলে আইনে আওতায় আনতে হবে।
মিরপুর থেকে ফার্মগেটের বিভিন্ন স্থানে সরেজমিন দেখা গেছে, এমন কোনো পিলার নেই, যেখানে পোস্টার লাগোনো হয়নি। কর্তৃপক্ষের উচিত আইনের কঠোর প্রয়োগ করা। পাশাপাশি নাগরিকদের বিশেষ করে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সচেতন করার পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। মেট্রোরেলে সৌন্দর্যমণ্ডিত করতে হলে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। সিটি করপোরেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, এ শহরটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব আমাদের ওপরই পড়ে।
প্রাণের এ শহরকে সাজাতে হলে আর আমাদের স্বপ্নের মেট্রোরেলকে সুন্দর রাখতে হলে প্রত্যেক নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে। মেট্রোরেলের পোস্টার-ব্যানার লাগানোর সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এ ধরনের প্রচারণা বন্ধ করতে আমাদের কঠোর হতে হবে। নাগরিক ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদেরও সচেতন হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
জিএমএম/এএটি