ইবি: ঘাসফুল, জন্ম তার অযত্ন অবহেলায়। গ্রীষ্মের তীব্র খড়তাপে যখন ত্রাহিত্রাহি অবস্থা তখন এতে কেউ পানি দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসে না।
ভোরের আলোয় চারদিক আলোকিত হওয়ার শুরু থেকে ঠিক দিনের আলো নিভে যাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত শুভ্রতা ছড়িয়ে যাচ্ছে আনমনে। মৃদূ বাতাসের সাথে দোল খেলে যেনো জানান দিচ্ছে সে ক্লান্তহীন।
ঘাসফুলের শুভ্রতার চাদর ছড়িয়ে আছে ১৭৫ একরের কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি)। সবুজ ঘাসের ওপর ছড়িয়ে থাকা সাদা পাপড়িগুলো যেন কোনো রেশমের চাদর। ঘাসফুলের সাদা পালকের কোমল স্পর্শে হৃদয় ছুয়ে যায় এখানকার প্রকৃতিপ্রেমী শিক্ষার্থীদের মনে।
বিশ্ববিদ্যলয়ের কেন্দ্রীয় ক্রিকেট মাঠ থেকে শুরু করে ফুটবল মাঠ, ডায়না চত্বর, পেয়ারা বাগান, বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই দেখা মেলে সাদা রঙের এই ঘাসফুল।
সবুজ শ্যামল ক্যাম্পাসে সাদা ঘাসফুল ফুটে প্রকৃতিকে যেন নতুন রূপে সাজিয়েছে। সবুজ ঘাসের বুকে সাদা ঘাসফুলের দোল খেলা প্রত্যেক প্রকৃতি প্রেমিকের মন ছুয়ে যায়। এ সব ঘাসফুলকে ঘিরে শিক্ষার্থীরা কেউ ব্যস্ত সেলফি তুলতে, কেউ ব্যস্ত বন্ধুদের সাথে দল বেঁধে ছবি তুলতে।
ঘাসফুলের সৌন্দর্যে আবেগে আপ্লুত হয়ে ফাইন আর্টস বিভাগের শিক্ষার্থী স্বপ্না রানী বলেন, আমি সবসময় প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে ভালোবাসি। ঈদের ছুটির পর আমরা ক্যাম্পাসে এসে এই ফুল দেখতে পেয়ে অত্যন্ত খুশি। ছোট ছোট ফুলগুলো দেখলে মনে হয় যেন শুভ্রতার চাদরে আবৃত সারা মাঠ। ফুল গুলো শরতের কাশফুলের মতোই।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাজনিন বলেন, ঘাসফুলগুলো ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে তুলেছে। এই সৌন্দর্য বিনষ্ট যেন না হয় এজন্য আমাদের সকলের সতর্কতার প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২২
ইআর