রোববার (০৯ জুন) দিবাগত রাতে উয়েফা নেশনস কাপের ফাইনালে ডাচদের ১-০ গোলে হারানোর পর রোনালদোর কণ্ঠে ছিল ব্যালন ডি’অর জয়ের প্রত্যাশা।
আরেকটি ব্যালন ডি’অর জিততে আর কি করতে হবে সেই কথাই পরোক্ষভাবে শোনালেন পর্তুগিজ উইঙ্গার।
গত মৌসুমে সাবেক লস ব্লাঙ্কোস সতীর্থ লুকা মডরিচের কাছে ব্যালন ডি’অর খোয়াতে হয়েছে রোনালদোকে। ২০১৮-১৯ মৌসুমেও ব্যালন ডি’অর দৌড়ে সবার শীর্ষে বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি ও লিভারপুল ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক।
তার মধ্যে মেসি কাতালানদের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলে ৫০ ম্যাচে করেছেন ৫১ গোল ও ২২ অ্যাসিস্ট। জিতেছেন কেবল লা লিগা শিরোপা।
ফন ডাইক পুরো মৌসুম জুড়ে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন লিভারপুলকে। তার নৈপুণ্য ২০১৮-১৯ মৌসুমে অল রেডসরা শিরোপাজয়ীদের থেকে মাত্র এক পয়েন্টে পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয় হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শেষ করেছে। তবে জিতেছে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। ফন ডাইক ডাচদের তুলেছেন উয়েফা নেশনস কাপের ফাইনালেও।
সদ্য বিদায়ী মৌসুমেও নিজের সেরাটা দেখিয়েছেন রোনালদো। জুভেন্টাসের জার্সিতে সব প্রতিযোগিতা মিলে ২৮ গোল ও ১৩ অ্যাসিস্ট করেছেন। সঙ্গে দুই শিরোপা। দেশের হয়ে দুই ম্যাচে মাঠে নেমে করেছেন ৩ গোল। যার মধ্যে উয়েফা নেশনস কাপের সেমিফাইনালে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে করেছেন অনবদ্য হ্যাটট্রিক।
এতকিছুর পরও কি ব্যালন ডি’অর তার ‘প্রাপ্য’ নয়! এমন আক্ষেপের সুরটাই ধ্বনিত হলো রোনালদোর কণ্ঠে, ‘গত ১৬ বছরের ক্যারিয়ার কথা বলবে আমার পক্ষে। আমি আর কি করতে পারি? গোল্ডেন বল কি আমার প্রাপ্য? আমি জানি না। আমি এই বিচারের ভার আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম, আপনারাই আমার পারফর্ম্যান্স বিচার করুন। আমি নিজের বিচার নিজে করছি না। ’
মেসি ও রোনালদো উভয়ে সর্বোচ্চ পাঁচবার করে জিতেছেন ব্যালন ডি’অর।
বাংলাদেশ সময়; ১৭১০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯
ইউবি