ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চক্ষুবিজ্ঞানে দিনব্যাপী বিনামূল্যে গ্লুকোমা পরীক্ষা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২০
চক্ষুবিজ্ঞানে দিনব্যাপী বিনামূল্যে গ্লুকোমা পরীক্ষা জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চলছে দিনব্যাপী বিনামূল্যে গ্লুকোমা পরীক্ষা। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চলছে দিনব্যাপী বিনামূল্যে গ্লুকোমা পরীক্ষা। বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ ক্যাম্পেইনে বিনামূল্যে গ্লুকোমা পরীক্ষা করতে পারবেন হাসপাতালে আসা রোগীরা। 

সোমবার (৯ মার্চ) হাসপাতালটির পরিচালক গোলাম মোস্তফা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এসময় তার সঙ্গে গ্লুকোমা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ইফতেখার মোহাম্মদ মুনিরসহ হাসপাতালের অন্য শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও নার্সরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন শেষে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আজ বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস। এ দিনটিতে প্রতি বছর আমরা বিনামূল্যে গ্লুকোমা পরীক্ষা করার ক্যাম্প আয়োজন করি। এখানে আজ আসা সবাই বিনামূল্যে এ সেবা পাবেন। ’

তিনি বলেন, ‘বিশ্বে প্রায় আট কোটি মানুষ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। এদের মধ্যে প্রায় ৮০ লাখ মানুষ গ্লুকোমার কারণে অন্ধত্ব নিয়ে আছেন। রোগীদের বেশিরভাগই দক্ষিণ এশিয়ার। গ্লকোমা সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে বিরাট জনগোষ্ঠী অপরিবর্তনযোগ্য অন্ধত্বের শিকার হন যা প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করতে পারলে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। ’

অধ্যাপক ইফতেখার মোহাম্মদ মুনির বলেন, ‘গ্লুকোমা চোখের একটি জটিল রোগ যাতে চোখের স্নায়ু ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং চোখের দৃষ্টি কমে যায়। একসময় রোগী অন্ধত্ব বরণ করে। এটা অনেকটা চোখের স্নায়ুগুলোতে ব্লাড প্রেশারের মত। এর স্বাভাবিক মাত্রা ১০ থেকে ২১। তবে ২১ এর ওপরে উঠলে তা আশঙ্কাজনক। ’

তিনি বলেন, ‘চোখের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলেও অনেক সময় গ্লুকোমার পরীক্ষা করা হয় না। ফলে লং টার্ম এ এগিয়ে এটা ক্ষতি করে। অনেক সময় চোখের ছানির অপারেশন করল গ্লুকোমা পরীক্ষা করে চিকিৎসা নেওয়া হয় না। তাই দেখা যায় ছানির অপারেশনের পরেও কেউ কেউ অন্ধত্ব বরণ করেন। তাই গ্লুকোমা বিষয়ে সচেতন হতে হবে। ’

গ্লুকোমার লক্ষণ সম্পর্কে এসময় জানানো হয়, অনেক ক্ষেত্রেই রোগী এ রোগের কোনো লক্ষণ অনুধাবন করতে পারেন না। চশমা পরিবর্তনের সময় কিংবা নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষার সময় হঠাৎ করে চিকিৎসকের নির্ণয় করে থাকেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখা যেতে পারে যেমন ঘনঘন চশমার গ্লাস পরিবর্তন হওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা, আলোর চারপাশে ব্যথা অনুভূত হওয়া, ছোট ছোট বাচ্চারা জন্মের পর চোখের কর্নিয়া ক্রমাগত বড় হয়ে যাওয়া বা সাদা হয়ে যাওয়া, চোখ লাল হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি।

নিয়মিত চিকিৎসায় গ্লুকোমা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হলেও নিরাময় সম্ভব নয়। এ রোগের কারণে দৃষ্টি যতটুকু হ্রাস পেয়েছে তা আর ফিরেয়ে আনা সম্ভব নয় বলেও জানান চক্ষু চিকিৎকরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
এসএইচএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।