যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কর্মী বা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের দুই দিনের মধ্যেই ছাঁটাই করা শুরু হবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
এদিকে দেশটির আইনপ্রণেতারা সাত বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সরকারি এই ‘শাটডাউন’ বা অচলাবস্থার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছেন।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেটরা মধ্যরাতের সময়সীমার আগে নতুন একটি ব্যয় পরিকল্পনায় একমত হতে না পারায় বুধবার (১ অক্টোবর) থেকে এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
আপস করতে ইচ্ছুক–– এমন লক্ষণ কোনো পক্ষের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে না। একইসঙ্গে এমন অবস্থা শুরুর কয়েক ঘণ্টা পরই, তা বন্ধের জন্য একটি ভোট করার উদ্যোগও ব্যর্থ হয়েছে।
লাখো কর্মসংস্থান হুমকিতে পারতে ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে পারে এমন আশঙ্কা বাড়াচ্ছে।
বুধবার বিকেলে হোয়াইট হাউজের এক ব্রিফিংয়ে প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের উপস্থিত ছিল। এটি ছিল বিরল ঘটনা।
এই পরিস্থিতি নিয়ে ডেমোক্রেটদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক খেলার অভিযোগ করে ভ্যান্স বলেন, যদি আমেরিকান জনগণের ওপর এর প্রভাব নিয়ে এতেই উদ্বিগ্ন হয়, তাহলে তাদের চিন্তিত হওয়াই উচিত। তাদের যেটা করা উচিত তা হলো সরকারের কর্মকাণ্ড ফের চালু করা। আমরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাই সেটা নিয়ে অভিযোগ করা উচিত নয়।
প্রথা অনুযায়ী, সরকারি দপ্তরগুলোর কার্যক্রম চালু রাখতে কংগ্রেসকে বাজেট পাস করতে হয়। এবার সিনেটে প্রয়োজনীয় ৬০ ভোট না পাওয়ায় কোনো প্রস্তাবই গৃহীত হয়নি। পরে হোয়াইট হাউস আনুষ্ঠানিকভাবে আসন্ন ‘শাটডাউন’ ঘোষণা দিয়েছে। ফলে জরুরিসেবা ছাড়া অধিকাংশ সরকারি দপ্তরের কাজ বন্ধ থাকবে।
এর আগে আমেরিকান সরকারে ‘শাটডাউন’ হয়েছিল ছয় বছর আগে।
আরও পড়ুন>>> যুক্তরাষ্ট্র সরকার কেন ‘শাটডাউনে’, কী হবে এখন?
এএটি