অর্থবছরের শেষ দিনেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনিক ব্যয় সংক্রান্ত বিল নিয়ে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে সমঝোতা হয়নি। ফলে সিনেটে এ সংক্রান্ত বিলটি অনুমোদন পায়নি।
শেষ মুহূর্তে কোনো সমাধান না আসায় স্থানীয় সময় বুধবার (১ অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাত ১২টার পর থেকেই সরকারি তহবিল থেকে ব্যয় বরাদ্দ বন্ধ হয়ে গেছে। অর্থাৎ মধ্যরাত পেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই সরকারি অর্থায়ন বন্ধ হয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আংশিক শাটডাউনে প্রবেশ করেছে। এ কারণে জরুরি সেবা ছাড়া অন্য সব সরকারি কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রে বাজেট নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সাধারণ, তবে এবার পরিস্থিতি একটু ভিন্ন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত নয় মাস ধরে জাতীয় সরকারের আকার উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট করার চেষ্টা করছেন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই অচলাবস্থা তার জন্য সরকারি খরচ আরও কমানোর সুযোগ তৈরি করে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের শাটডাউন কেন হলো?
এই প্রশ্নের উত্তর লেখাটির প্রারম্ভে দেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা অক্টোবরের পর পর্যন্ত সরকারি খরচ চালানোর জন্য কোনো বাজেট বিল পাস করতে পারেননি বিধায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকার কার্যত শাটডাউন হয়ে গেছে।
২০২৪ সালে নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির জয় হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ ও সিনেট নিয়ন্ত্রণে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে রিপাবলিকানরা। তবে কোনো বিল পাশের জন্য তাদের ডেমোক্রেটদের সঙ্গেও লড়াই করতে হয়। অক্টোবরের পর পর্যন্ত সরকারি খরচ চালাতে এ দুই কক্ষে ভোট হয়, যাতে রিপাবলিকানরা তাদের কাঙ্খিত ৬০টি ভোট অর্জন করতে সক্ষম হয়নি।
তাছাড়া, রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট সদস্যদের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা খরচ নিয়ে তীব্র দ্বন্দ্ব রয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা এমন একটি রিপাবলিকান বিলকে সমর্থন করতে অস্বীকার করেছে, যা তাদের মতে আমেরিকানদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা আরও ব্যয়বহুল করে তুলবে।
ডেমোক্র্যাটরা দাবি করছেন, যে ট্যাক্স ক্রেডিটগুলো শেষ হতে চলেছে সেগুলো বৃদ্ধি করা হোক। ফলে লাখ লাখ মার্কিনি সস্তায় স্বাস্থ্য বীমা করতে পারবেন। এমনটি তারা মেডিকেল ইস্যুতে ট্রাম্প যে কাটছাঁট করেছে, তা ফিরিয়ে আনার দাবি করেছেন। মূলত ডেমোক্র্যাটরা সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থার বাজেট কমানোরও বিরোধিতা করছে।
এর আগে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ একটি অস্থায়ী বিল পাস করেছিল, কিন্তু তা এখনও সিনেটে পাস হয়নি। ফলে বুধবার মধ্যরাতে সাত বছরের মধ্যে প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্র সরকার শাটডাউন হয়।
শাটডাউন শেষ হবে কখন?
এটি বলা কঠিন। তবে এর আগে ২০১৮ সালে মার্কিন সরকার শাটডাউন হয়েছিল। টানা ৩৫ দিনের এ অচলাবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল।
বিশ্লেষকরা বলেন, সরকারের শাটডাউনে যাওয়া সহজ, কিন্তু বের হওয়া কঠিন। এ ক্ষেত্রে সবকিছু নির্ভর করছে সেই সময়টির ওপর, যখন উভয় পক্ষ কোনো সমঝোতায় পৌঁছাবে।
শাটডাউন শেষ হওয়ার প্রধান দুটি সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথমত, রিপাবলিকানরা ডেমোক্র্যাটদের দাবি করা স্বাস্থ্যসেবা সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনায় আসতে পারে। অথবা শাটডাউন এতটাই ক্ষতি করতে শুরু করবে যে ডেমোক্র্যাটরা তাদের অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হবে এবং অস্থায়ীভাবে সরকারকে অর্থায়ন দিতে সম্মত হবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসন কোনো উল্লেখযোগ্য ছাড় দিতে অনিচ্ছুক। রিপাবলিকানরা মনে করছে, ডেমোক্র্যাটরা জনগণের সমালোচনার মুখে পড়বে। কারণ তারা সরকারের সচল রাখার বিনিময়ে বিভিন্ন দাবি তুলছে।
তবে ডেমোক্র্যাটরা বিশ্বাস করে, স্বাস্থ্যবীমা সহায়তা রক্ষা করার তাদের দাবিটি জনপ্রিয়। গত মার্চে কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট নেতারা বাজেট বিতর্কের সময় পিছিয়ে যাওয়ায় বামপন্থী কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। তাই অনেক ডেমোক্র্যাট এবার আরও জোরালো লড়াই করতে চাচ্ছেন। কেননা, সরকারকে অর্থায়ন করা হলো একমাত্র সেই জায়গা যেখানে তাদের দলের কিছু প্রভাব আছে।
যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউনের প্রভাব, কোন চাকরিতে প্রভাব পড়ছে
সরকারের শাটডাউনের প্রভাব বিভিন্ন সেক্টরে পড়লেও সব সরকারি কাজের ওপর পড়বে না। অর্থাৎ, সব সরকারি কাজ বন্ধ হবে না। জরুরি সেবার কর্মীরা স্বাভাবিকভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন। তবে তারা বেতন দেরিতে পাবেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী সীমান্ত সুরক্ষা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ইন্সপেকশন (আইসিই) এজেন্ট, হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী ও বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ কর্মীরা সাধারণভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন।
সামাজিক নিরাপত্তা (সোশ্যাল সিকিউরিটি) ও মেডিকেয়ার কর্মীদের বেতনের চেক পাঠানো হবে। তবে সুবিধা যাচাই ও কার্ড ইস্যু করার মতো কার্মক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ হতে পারে। যে সরকারি কর্মীরা জরুরি নয় (নন এসেন্সিয়াল ওয়ার্কার্স) তাদের অস্থায়ীভাবে বেতন ছাড়া ছুটি দেওয়া হয়। অতীতে, এই কর্মীদের পরে বেতন দেওয়া হয়েছে। এতে করে খাবার সহায়তা প্রোগ্রাম, ফেডারেল অর্থায়িত প্রি-স্কুল এবং স্মিথসোনিয়ান মিউজিয়ামের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো সীমিত বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
কেন্দ্রীয় কিছু সংস্থা, যেমন- সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (এনআইএইচ) অনেক কর্মীকে সাময়িক ছুটিতে পাঠানো হতে পারে। যা চলমান গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রভাব ফেলবে। আগের শাটডাউনের সময় জাতীয় উদ্যান ও বন এলাকাগুলো খোলা ছিল। কিন্তু কর্মী কম থাকার কারণে ভাঙচুর, আবর্জনা ফেলা ও ঐতিহাসিক স্থানে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছিল।
ভ্রমণেও বিলম্ব হতে পারে। এয়ারলাইন্স ফর আমেরিকার একজন প্রতিনিধি সতর্ক করে বলেছেন, ফ্লাইট সিস্টেম ধীরগতিতে কাজ করতে পারে, ফলে কার্যকারিতা কমে যাবে। পাসপোর্ট সংস্থাগুলোও জানিয়েছে, ভ্রমণ ডকুমেন্ট প্রক্রিয়ায় আগের তুলনায় বেশি সময় লাগতে পারে। চালু থাকবে মেইল সেবা ও ডাকঘর। কারণ মার্কিন ডাক পরিষেবা (ইউএস পোস্টাল সার্ভিস) কংগ্রেসের অর্থায়নের ওপর নির্ভরশীল নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলগুলোর অধিকাংশই রাজ্য থেকে অর্থায়ন পায়। তবে ফেডারেল সরকার কোটি কোটি ডলারের গ্রান্ট ও ছাত্র ঋণের দায়িত্বে রয়েছে। এই খাতগুলো কার্যত বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে শিক্ষা সচিব জানিয়েছেন, যেহেতু এই গ্রান্টগুলো গ্রীষ্মকালে দেওয়া হয়, তাই এই শাটডাউনের সময় এতে বেশি প্রভাব পড়বে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারি শাটডাউন প্রায়ই ধীরে ধীরে শুরু হয়। কিন্তু ধীরে ধীরে সমস্যা বাড়ে এবং এর প্রভাব পড়ে ফেডারেল কর্মী ও সাধারণ আমেরিকানদের ওপর। বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া শাটডাউন ২০১৮ সালের তুলনায় আরও বড় হতে পারে।
কংগ্রেসিয়াল বাজেট অফিস (সিবিও) অনুমান করছে, প্রতিদিন প্রায় সাড়ে সাত লাখ ফেডারেল কর্মীর ৪০ শতাংশ বেতন ছাড়া ছুটিতে থাকবেন।
হোয়াইট হাউসের প্রতিক্রিয়া কেমন?
এবারের শাটডাউন নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে রিপাবলিকান পার্টির অবস্থান নিয়ে। অতীতে দীর্ঘ শাটডাউন রাজনৈতিকভাবে বিপজ্জনক হিসেবে ধরা হতো। কারণ এতে ভোটারদের দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হতো এবং আইনপ্রণেতা ও প্রেসিডেন্টের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হতো। এবার ট্রাম্প প্রশাসন অনেক সরকারি কাজ অনেক দিন বন্ধ রাখতে চাইছে, মনে হচ্ছে যেন তারা এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করছে। প্রকৃতপক্ষে, কর্মকর্তারা শাটডাউন ব্যবহার করে ‘জরুরি নয়’ এমন কর্মীদের চিহ্নিত করার হুমকিও দিয়েছেন, যাদের পরে স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে।
গতকাল ট্রাম্প এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা অনেক লোককে ছাঁটাই করব।
শাটডাউন শেষ হওয়ার পরে কী ঘটে, এবার ভিন্ন কি দেখা যাবে?
আগের শাটডাউনগুলোয়, সরকার সাধারণত দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেত। ডেমোক্র্যাট ও রিপাকলিকানদের মধ্যে বচসা শেষ হওয়ার পর কোনো না কোনো সমাধান পাওয়া যেত। সরকারি কর্মী ও খরচের স্তর মূল অবস্থায় ফিরে আসতো। কিন্তু গত নয় মাসে ট্রাম্প প্রশাসন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার সীমা পরীক্ষা করছে; কর্মীদের চাকরি থেকে সরিয়ে খরচ কমিয়েছে। চলমান শাটডাউন প্রশাসনকে তাদের বড় ধরনের কাটছাঁট আরও দ্রুত ত্বরান্বিত করার সুযোগ দিতে পারে। এবারও উভয় পক্ষ একে অপরের ওপর দায় চাপিয়েছে। তবে, শেষ মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা কিছু কাজও করেছে।
গত সোমবার, ট্রাম্প হাউস ও সিনেটের চার শীর্ষ কংগ্রেসীয় নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এদের মধ্যে ছিলেন হাউস ও সিনেটের শীর্ষ ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সদস্য। কিন্তু তাদের মধ্যকার আলোচনায় শাটডাউন এড়াতে কার্যকর কোনো অগ্রগতি হয়নি, বরং উভয় পক্ষই তাদের অবস্থান আরও দৃঢ় করেছে।
শেষবার যুক্তরাষ্ট্রে সরকার কখন শাটডাউন হয়েছিল?
গত ৫০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি শাটডাউন খুব সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেই তিনবার শাটডাউন হয়েছিল। ২০১৮ সালের শেষ দিকে হওয়া শাটডাউন হয়েছিল মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের তহবিল নিয়ে বিরোধের কারণে। এটি শেষ হয় বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণকারীদের ছুটি নেওয়ার পরিমান বেড়ে যাওয়ার কারণে। তারা বেতন ছাড়া কাজ করতে করতে অস্থির হয়ে উঠেছিল। ফলে অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে কর্মীরা একসঙ্গে ছুটি নিতে শুরু করে। কর্মীর অভাবে অনেক ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হয়েছিল, ফলে শাটডাউন দ্রুত শেষ হয়।
সিবিও অনুমান করেছে, ২০১৮-২০১৯ সালের শাটডাউন অর্থনীতিতে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি করেছিল। এর মধ্যে ৩ বিলিয়ন ডলার অপূরণীয় থেকে যায়।
২০১৮ সালের আগে ১৯৯৫ সালে একবার শাটডাউন হয়। সেটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দ্বিতীয় দীর্ঘতম শাটডাউন। সে সময় ক্ষমতায় ছিলেন ডেমোক্র্যাট পার্টি থেকে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। ওই শাটডাউনের স্থায়ীত্বকাল ছিল ২১ দিন। বারাক ওবামার সময় ১৬ দিনের শাটডাউন হয়। আশির দশকে (১৯৮০) রোনাল্ড রেগান আটবার শাটডাউনের মধ্য দিয়ে গেছেন। তবে এগুলো সবই তুলনামূলকভাবে সংক্ষিপ্ত ছিল।
বাজেট নিয়ে শাটডাউন মার্কিন রাজনীতির একটি অনন্য দিক। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থায়, খরচের পরিকল্পনা আইন হিসেবে কার্যকর হওয়ার আগে বিভিন্ন শাখার সরকারের মধ্যে সমঝোতা প্রয়োজন। অন্য অনেক দেশে বাজেট ভোটই সরকারের ওপর আস্থা প্রদর্শনের ভোট হিসেবে গণ্য হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন শাখা সমান ক্ষমতাশালী এবং প্রায়শই বিভক্ত থাকার কারণে তা হয় না।
শাটডাউন অর্থনীতির ওপর কী প্রভাব ফেলতে পারে?
শাটডাউনের ক্ষতির পরিমাণ নির্ভর করবে এটি কতদিন স্থায়ী হয় এবং কতটা বিস্তৃত। আগের শাটডাউনে প্রভাব সাধারণত সাময়িক হয়, এবং ক্ষতিগ্রস্ত কার্যক্রম বেশিরভাগই শাটডাউন শেষ হওয়ার পরে পূরণ হয়ে যায়। বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন, এই শাটডাউন প্রতি সপ্তাহে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ০.১ থেকে ০.২ শতাংশ পয়েন্ট কমিয়ে দিতে পারে—যদিও এর একটি বড় অংশ পরে পূরণ করা সম্ভব।
এই তুলনামূলকভাবে ছোট প্রভাবের কারণে শেয়ার বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে না। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে। একদিকে, ট্রাম্প কিছু কর্মীকে সাময়িক ছুটিতে না রেখে বরখাস্ত করার হুমকি দিয়েছেন, যা প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী করতে পারে। অন্যদিকে, শাটডাউন এমন সময়ে হচ্ছে যখন অর্থনীতি ইতিমধ্যেই ট্যারিফ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংক্রান্ত পরিবর্তনের কারণে অস্থির। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেমন মাসিক চাকরি রিপোর্টের বিলম্ব আরও অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে।