চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) শীর্ষক আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) মুনিরীয়া যবু তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মহান মোর্শেদ আওলাদে রাসূল হজরতুলহাজ আল্লামা অধ্যক্ষ ছৈয়্যদ মুহাম্মদ মুনির উল্লাহ আহমদী মাদ্দাজিল্লহুল আলী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে মাহফিলে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের ওলামা পরিষদের সচিব আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম হানফি, উপাধ্যক্ষ আল্লামা বদিউল আলম আহমদী, মুফতি কাজী আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকি, আল্লামা মোহাম্মদ আশেকুর রহমান মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান, মাওলানা শাহজাজান নোমান ও মাওলানা মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম। প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ ফোরকান মিয়া।
সুন্নাতে নব্বী ও আদর্শের পূর্ণ অনুসরণেই অর্জিত হবে প্রিয় নবীর সন্তুষ্টি উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, খলিফায়ে রাসুলের মর্যাদায় অভিসিক্ত কাগতিয়ার গাউছুল আজম প্রতিষ্ঠিত এ দরবারের অন্যতম কর্মনীতি হচ্ছে প্রিয় রাসুলের (সা.) রেখে যাওয়া সুন্নাতসমূহকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং রাসুলের অনুপম আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য মুসলমানদের তাগিত দেওয়া। সেই লক্ষ্যে এ দরবার ও মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি শুধু দেশে নয়, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশসহ অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়ও বড় পরিসরে জসনে জুলুছ ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে কাজ করে যাচ্ছে।
শুধু মুখের দাবিতে আশেকে রাসুল হওয়া যায় না। প্রিয় নবীর প্রতি সব কিছুর ঊর্ধ্বে এমনকি নিজের জানমালের চেয়েও বেশি ভালবাসার মধ্যে দিয়ে সত্যিকার রাসুল প্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর খতমে কোরআন, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) শীর্ষক সেমিনার, বাদ আছর তরিকতের বিশেষ পদ্ধতিতে নূরে কোরআন বিতরণ, বাদ মাগরিব বায়আতের নির্দিষ্ট ছবকপ্রাপ্ত তরিকতপন্থিদের রাসুলের (সা.) সুন্নাত তরিকায় বায়আত, তাওয়াজ্জুহ্র মাধ্যমে রাসুলের (সা.) বাতেনি নূর বিতরণ, তবারোক বিতরণ এবং বাদ এশা মোর্শেদে আজমের তকরির, মিলাদ-কিয়াম ও আখেরি মুনাজাত।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও এসব কর্মসূচিতে অংশ নিতে দুপুর থেকেই হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান কাগতিয়া দরবার শরীফে আসতে থাকেন। আছরের আগেই মাহফিলস্থল দরবার শরীফের গাউছুল আজম জামে মসজিদ প্রাঙ্গণ ও এর আশেপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
মিলাদ ও কিয়াম শেষে হুজুর ক্বেবলা দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা কাগতিয়ার গাউছুল আজমের দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৫
এসআই