ইজতেমার আয়োজকরা জানান, বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) সকালে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে ইজতেমার মূল কর্মসূচি। ইজতেমায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ আশেপাশের জেলার তাবলিগের সাথীরা অংশ নেবেন।
শনিবার সকাল ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে জেলা ইজতেমা।
প্রায় ২০ একর জায়গাজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে বিশালাকার প্যান্ডেল। আগত মুসল্লিদের জন্য প্রস্তুত সবকিছু। মুসল্লিদের অজু-গোসলের জন্য ৮টি পানির ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে ৮০০ টয়লেট।
তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনের এই ইজতেমায় দেশি-বিদেশি অতিথিসহ লক্ষাধিক তাবলিগি সাথীরা অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেলা ইজতেমার ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বরত তাবলিগের স্থানীয় মুরুব্বি মো. জাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে ইজতেমার কার্যক্রম। ইজতেমা সফল করতে তাবলিগের ২০০ স্বেচ্ছাসেবক রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন।
ইজতেমায় আগত জরু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, একদিন আগেই চলে এসেছি। জেলা পর্যায়ে ইজতেমা হওয়ায় এখানকার লোকজনের অনেক সুবিধা হয়েছে। আগে আমাদের টঙ্গী ইজতেমায় যেতে যাতায়াতের কষ্টসহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হতে হতো।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের জন্য আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছি। নৌ পুলিশের মাধ্যমে নৌ পথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া মুসল্লিদের ইজতেমায় আসা-যাওয়ায় রাস্তায় যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়, সে জন্য বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সাদা পোশাক ও পোশাক পরিহিত ৫৮০ জন ফোর্স নিয়মিত দায়িত্ব পালন করবে।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৮
এমএইউ/