আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আর তোমরা অঙ্গীকার পূরণ করো। কেননা প্রতিশ্রুতি পূরণের বিষয়ে তোমাদের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘যার মধ্যে আমানতদারি নেই, তার মধ্যে ঈমান নেই। অনুরূপ যে ব্যক্তি অঙ্গীকার রক্ষা করে না, তার মধ্যে দ্বিন নেই। ’ (বায়হাকি, মিশকাত, পৃষ্ঠা : ১৫)
তিনি আরো ইরশাদ করেন, ‘মুনাফিকের নিদর্শন তিনটি: কথা বললে মিথ্যা বলে, অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে, আমানত রাখলে খিয়ানত করে। অন্য বর্ণনায় রয়েছে চারটি। চতুর্থটি হলো যখন বিবাদ করে, গালাগাল করে। ’ (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত, ১৭ পৃষ্ঠা)
হাদিসের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয়, অঙ্গীকার পূরণের সঙ্গে ঈমানের সম্পর্ক আছে। যার ঈমানের ঘাটতি রয়েছে, সেই অঙ্গীকার ভঙ্গ করে। আর এর ফলে আল্লাহ তাআলা শত্রুদের তাদের ওপর প্রবল ও শক্তিশালী করে দেন।
প্রতিশ্রুতি পূরণ মানুষের পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনে বিশ্বাস ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করে। প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে অনাস্থার সৃষ্টি হয়। হাদিস অনুযায়ী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে যদি কারো মৃত্যু হয়, তাহলে সেটা জাহেলিয়াতের মৃত্যুবরণের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার তওফিক দান করুন।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৮
এমএমইউ/আরএ