খ্রিস্টপূর্ব ১৩ শতকে বুখারা শহরের গোড়াপত্তন হয়। বুখারার অনেক স্থাপত্য নিদর্শন আছে, যেগুলোর কিছু ৯ম খ্রিস্টাব্দের।
উজবেকিস্তানের বিখ্যাত শহর সমরকন্দের পশ্চিমে অবস্থিত বুখারা মধ্য এশিয়ায় ইসলামের ঐতিহ্যবাহী নগরী, ইসলামী সংস্কৃতি ও ধর্মীয় দর্শনের অন্যতম পীঠস্থান, আরেক বিখ্যাত নগর সমরকন্দের সঙ্গে সমুচ্চারিত তার নাম। বুখারা একসময় ইসলামচর্চার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ছিল। এখানেই ইমাম বুখারি (রহ.) তাঁর জগদ্বিখ্যাত বুখারি শরিফের সংকলন সম্পন্ন করেন। এ শহরেই শায়েখ বাহাউদ্দিন নকশবন্দি (রহ.) আধ্যাত্মিক সাধনায় ব্রতী হয়েছিলেন।
১৩৩০ খ্রিস্টাব্দে ইতিহাসের মহা পরিব্রাজক ইবনে বতুতা এই শহরে ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি এই শহরকে ‘বিশ্বের সুন্দরতম বৃহৎ শহর’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। বাস্তবেই প্রাচীন মসজিদ-স্থাপত্য, প্রাসাদ, বাগান-বীথি এবং নির্মাণশৈলী পর্যটকদের সহজেই মুগ্ধ ও মোহাবিষ্ট করে।
বুখারাতে ৩৫০টি মসজিদ ও ১০০টির বেশি মাদ্রাসা আছে। আর পুরাতন বুখারার প্রবেশপথে রাস্তার দুই দিকের স্থাপত্যগুলো মুসলিম-ঐতিহ্যের স্মৃতি ধরে রেখেছে। ৯৪ হিজরিতে নির্মিত একটি মসজিদ বুখারা নগরীতে এখনো রয়েছে। এছাড়াও বুখারাতে ১৫১৪ সালে নির্মিত হয়েছিল বিখ্যাত কালান মসজিদ। আরো নির্মাণ হয়েছিল ইয়েমেনের অধিবাসী শেখ আবদুল্লাহ ইয়ামানির তৈরি মির-ই-আরাব মাদ্রাসাটি।
১৪০টি ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নিয়ে টিকে থাকা বুখারাকে বলা হয় City of Museum, যা ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যেরই অংশ। ঐতিহাসিক সিল্ক রুটের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল বুখারা, ষষ্ঠ শতকে যা ছিল পৃথিবীর বাণিজ্যিক মানচিত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক বণিজ্যিক কেন্দ্র।
ইসলাম বিভাগে লিখতে পারেন আপনিও। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮
এমএমইউ/