পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্ত্বেও রাসুল (সা.) কতটা নমনীয় ছিলেন এবং অতি সাধারণ কাজও নিজ হাতে করেছেন। বিভিন্ন হাদিসে সেগুলোর বিস্তর ধারণা ও বিবরণ পাওয়া যায়।
আয়েশা (রা.) অন্য বর্ণনায় বলেন, তিনি নিজের কাপড় নিজেই সেলাই করতেন। নিজের জুতা নিজেই মেরামত করতেন এবং সাধারণ মানুষের মতোই ঘরের কাজকর্ম করতেন। (তিরমিজি, হাদিস নং : ২৪৫৮৯)
পরিবারের প্রতিটি কাজই নিজেদের কাজ। কাজগুলো ভাগাভাগি করে করলে একদিকে যেমন পরিবারের সবার ভেতরে শৃঙ্খলা ও ভালোবাসা বজায় থাকবে, তেমনি আমাদের সমাজ-সংসার থেকে বিলুপ্ত হতে যাওয়া রাসুল (সা.)-এর একটি মহৎ সুন্নতও পালন হবে। উপরন্তযু সুন্নতের নিয়তে পরিবারে যেকোনো ধরনের কাজ করলে, সার্বক্ষণিক সওয়াব লিপিবদ্ধ হতে থাকে। বর্ণনা রয়েছে, যে ব্যক্তি উম্মতের অধঃপতনের সময় একটি সুন্নতকে আঁকড়ে ধরে সে ১০০ শহিদের সওয়াব পাবে। (আল-কামেল : ৩/১৭৪)
হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি মুসলমানদের মধ্যে কোনো একটি ভালো সুন্নতের প্রসার করবে, সে ওই আমলকারীদের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে, এ ক্ষেত্রে আমলকারীদের সাওয়াব বিন্দু পরিমাণও কমানো হবে না। আর যে ব্যক্তি মুসলমানদের মধ্যে কোনো একটি খারাপ কাজের প্রসার করবে, সে-ও ওই কুকর্মে জড়িতদের সমপরিমাণ গুনাহের অংশীদার হবে, এ ক্ষেত্রেও অপকর্মে লিপ্তদের গুনা বিন্দু পরিমাণ কমানো হবে না। (মুসলিম, হাদিস নং : ১০১৭)
দেশের প্রতিটি নাগরিক যদি রাসুল (সা.) এর বিভিন্ন সুন্নতের দিকে অনুপ্রাণিত হতেন, তাহলে পৃথিবীটা আরও অনেক সুন্দর ও উপভোগ্য হতো।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮
এমএমইউ/