ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

সড়কে বিপজ্জনক গাছ, সরানোর দায়িত্ব কার?

ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
সড়কে বিপজ্জনক গাছ, সরানোর দায়িত্ব কার?

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হচ্ছে ক্যাপ্টেন মীঢ়ধা সামসুল হুদা সড়ক যাকে সবাই বিমানবন্দর সড়ক বলে চেনে। এ পথে বিমানের যাত্রীসহ সর্বস্তরের মানুষ চলাচল করেন দিনে-রাতে।

সড়কে অতি পুরনো গাছগুলো এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।  

সড়কে অফিসার্স কলোনি এলাকায় দুটি গাছ হেলে সড়কে পড়েছে। অথচ সরিয়ে ফেলার কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না। এতে ওই সড়কে চলাচলে মানুষের বিঘ্ন ঘটছে। অনেকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে মন্তব্য করেছেন, গাছগুলো সরানোর দায়িত্ব কার?।  

শুধু এই সড়কে নয়, সাহেবপাড়া, গোলাহাট, নতুন বাবুপাড়া, পুরাতন বাবুপাড়া, বাজার এলাকার সড়ক ও রেল জমিতে রয়েছে ১০০/২০০ বছরের পুরনো গাছ। দীর্ঘদিনেও এসব গাছ কাটা হচ্ছে না। এমনকি গাছ কাটতে নানা জটিলতার কারণে রেলপথ বিভাগের কর্মকর্তারা এ পথে হাঁটেন না। ফলে বিভিন্ন স্থানে হেলে পড়ছে বিশাল আকৃতির গাছ, ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। কোথাও ঝড়ে বা ভেঙ্গে পড়লে লুটপাট হয়ে যায় গাছের ডালপালাসহ পুরো গাছ।  

বেশির ভাগ জায়গা রেলের। তাই পৌরসভাও গাছগুলো কাটতে বা জনগণের নিরাপত্তায় কোনো ব্যবস্থাই নিতে পারছেন না। অপরদিকে রেলওয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ গাছগুলো কাটার জন্য তাদের কার্যক্রম চিঠির মধ্যে সীমাববদ্ধ রেখেছেন।  

এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর পৌরসভার রাফিকা আকতার জাহান বলেন, গাছ কাটলেই রেল মামলা দিয়ে থাকেন। বিমানবন্দর দৃষ্টিনন্দন সড়কটি তৈরির সময় ফুটপাথের একটি মরা গাছ কাটার জন্য বহুবার রেলকে অনুরোধ করা সত্বেও তারা সরিয়ে নেয়নি বা কাটতে দেয়নি। ফলে ফুটপাথে গাছটি রেখে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সম্পন্ন করা হয়েছে।
 
এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারি প্রকৌশলী (পথ) সুলতান মৃধা বলেন, মরা ও বিপজজনক গাছ কাটার জন্য রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতির জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। অনুমতি মিললে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।
 
শহরের সৈয়দপুর বিমানবন্দর সড়কে অফিসার্স কলোনি এলাকায় দুটি গাছ হেলে সড়কে পড়েছে। অথচ সরিয়ে ফেলার কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না। এতে ওই সড়কে চলাচলে মানুষের বিঘ্ন ঘটছে। অনেকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে মন্তব্য করেছেন, গাছগুলো সরানোর দায়িত্ব কার? এখানে কী কোনো কর্তপক্ষ আছে ইত্যাদি।  

বাংলাদেশ সময়: ১০০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।