ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগরোধে ১৬৯ জনকে কারাদণ্ড: বনমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৭ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৩
নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগরোধে ১৬৯ জনকে কারাদণ্ড: বনমন্ত্রী

ঢাকা: নিষিদ্ধ পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহাররোধে ২০১৯ সাল থেকে চলতি বছর মে মাস পর্যন্ত ৫ কোটি ৬১ লাখ ১৩ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা ও ১৬৯ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনেওয়াজের এক প্রশ্নের উত্তরে পরিবেশমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। মঙ্গলবারের প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

শাহাব উদ্দিন বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহাররোধে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত সময়ে দুই হাজার ২৭৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৪০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ৫ কোটি ৬১ লাখ ১৩ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা ধার্য করে ৫ কোটি ৬০ লাখ ৪৩ হাজার ১৫০ টাকা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও ১৬৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং ১ হাজার ৭৭১ দশমিক ৫৫ টন পলিথিন/দানা/পলিমার জব্দ করা হয়েছে।

বনমন্ত্রী জানান, প্রচলিত পলিথিনের বিকল্প হিসেবে বায়োডিগ্রেডেবল পলিন বাজারজাতকরা এবং ব্যবহৃত পলিথিন রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে পুনঃব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী মোবারক আহমদ খান আবিষ্কৃত পাটজাত পলিথিন (বায়োডিগ্রেডেবেল বায়োপ্লাষ্টিক) ‘সোনালি ব্যাগ’র দাম কমানোর জন্য বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড ১০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে।

মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমনের জন্য গৃহস্থালি বর্জ্য ও প্লাষ্ট্রিক বর্জ্যের সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এবং ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ প্রণয়ন করেছে। এই বিধিমালায় পরিবেশ বিনষ্টকারী পলিথিনের  উৎপাদন ও বিপণন ও ব্যবহার বন্ধে স্থানীয় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবার দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আইনানুযায়ী ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন পুরুত্বের পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন ও বিপণনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতা পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ বা সীমিতকরার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট ও এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আইন অমান্য করে অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদনকারী, পরিবহনকারী, বিক্রেতা এবং মজুদদারকে মোবাইল কোর্টের আওতায় এনে নিয়মিত জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হচ্ছে এবং পলিথিন সামগ্রী বহু ও কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। মোবাইল কোর্ট ও এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে জনসাধারণকে নিরুৎসাহিত কারণের জন্য বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারণার কার্যক্রমও পরিচালনা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০২৩
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।