ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘যোগ্যতা অনুযায়ী হরিজন জনগোষ্ঠীর চাকরিতে নিয়োগ বাড়াতে হবে’ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৫
‘যোগ্যতা অনুযায়ী হরিজন জনগোষ্ঠীর চাকরিতে নিয়োগ বাড়াতে হবে’  সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

ঢাকা: বৈষম্য দূর করতে হলে রাষ্ট্র কর্তৃক হরিজন জনগোষ্ঠীকে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরিতে নিয়োগ বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে হরিজন-দলিত জনগোষ্ঠীর মর্যাদাপূর্ণ জীবন ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘সংস্কার ও রাষ্ট্র ভাবনায় হরিজন-দলিত জনগোষ্ঠী’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি কথা জানান।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের সভাপতি সুরেশ বাসফোর। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাজু বাসফোর।

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন- লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক তানজিমউদ্দিন খান, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণালাল, হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের উপদেষ্টা লিটন বাসফোর, বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, মাইনরিটি রাইটস ফোরামের সভাপতি উৎপল বিশ্বাস, হরিজন ঐক্য পরিষদ-চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণু হরিজন প্রমুখ।

আনু মুহাম্মদ বলেন, বৈষম্য দূর করতে হলে রাষ্ট্র কর্তৃক হরিজন জনগোষ্ঠীকে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরিতে নিয়োগ বাড়াতে হবে। শিক্ষার বৈষম্য দূর করতে হবে। সামাজিক-সাংস্কৃতিক বৈষম্য দূর করতে মিডিয়া-ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃত্বকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। শ্রমিক শ্রেণির রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বাবু বিজয়কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, হরিজন-দলিত জনগোষ্ঠী পিছিয়ে পড়া নয়, বরং তাদের পিছিয়ে রাখা হয়েছে। সমাজ কল্যাণ এবং নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদের সঙ্গে কথা বলবো এই দুটি মন্ত্রণালয় থেকে আরো কী কী সহযোগিতা করা যায় তা নিয়ে।

ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন মানে কোটা বাতিল নয়। বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা থাকা আবশ্যক। এই জনগোষ্ঠীর নারী-শিশু সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত। চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল হত্যা মামলার দ্রুত সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। পাশাপাশি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বান্ডেল হরিজন কলোনিতে যারা নির্বিচার গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের জামিন আবেদনের ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে।

আলতাফ পারভেজ বলেন, সারা দেশে বসবাসরত হরিজন-দলিত জনগোষ্ঠীর প্রকৃত সংখ্যা কত তার কোনো সঠিক তথ্য-উপাত্ত সরকারের কাছে নেই। এর উদ্যোগ সরকারকে নিতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দলিতদের কোনো কমিশন গঠন করেনি, যা অত্যন্ত প্রয়োজন। অধিকার আদায় করতে হলে হরিজন-দলিত জনগোষ্ঠীকে রাজনৈতিকভাবে লড়াই গড়ে তুলতে হবে।

সেমিনারের বক্তব্য পাঠ করেন সুরেশ বাসফোর। তিনি সারা দেশের হরিজন-দলিত জনগোষ্ঠীকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৫
আরকেআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।