ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্যোগ মোকাবেলায় সমন্বিত কর্মসূচি নেওয়ার আহ্বান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৬
দুর্যোগ মোকাবেলায় সমন্বিত কর্মসূচি নেওয়ার আহ্বান

দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগ সহনশীলতা সুসংহত করতে প্রত্যেক দেশকে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি এই খাতে আলাদা...

ঢাকা: দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগ সহনশীলতা সুসংহত করতে প্রত্যেক দেশকে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি এই খাতে আলাদা তহবিল গঠন করতেও আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিশেষ করে সব উন্নয়ন অংশীদার, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুতি আরও জোরদার করতে বলা হয়েছে।

চলতি মাসের ২-৫ নভেম্বর নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক এশিয়ান মিনিস্টিরিয়াল কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত ‘প্রতিবন্ধিতা ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক ঢাকা ডিক্লারেশন গৃহীত হয় বলেও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া শুক্রবার (১১ নভেম্বর) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান। মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরে এর আয়োজন করা হয়।
 
বিশ্বের ২২ দেশের অংশগ্রহণে নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বাংলাদেশ অংশ নেয়। যাতে ত্রাণমন্ত্রীসহ ওই সব দেশের মন্ত্রিরা উপস্থিত ছিলেন।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, এ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল দুর্যোগ মোকাবেলায় সবাই এক সঙ্গে কাজ করি, ঐক্যদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ি। যৌথভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে। আর এর জন্য অর্থ প্রয়োজন। সেজন্য আমরা তহবিল বাড়াতে বলেছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববাসীকে জানিয়েছে- বাংলাদেশ বিভিন্ন খাতভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে অন্তর্ভূক্ত করছে। বিশেষত গ্রামীণ পর্যায়ে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, দারিদ্র্য নিরসন ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জলবায়ু পরিবর্তন সহায়তা তহবিল গঠন করে জলবায়ু সহনশীল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাইক্লোনে বাংলাদেশের উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে দারুণ প্রশংসা করেন বলে জানান মন্ত্রী। তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় গৃহীত বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলোকে কার্যকর হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

এ সম্মেলনে দুর্যোগ মোকাবেলায় জেন্ডার ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয়। সম্মেলনে একটি রাজনৈতিক ডিক্লারেশন গৃহীত হয় এবং আঞ্চলিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। আগামী ২০১৮ সালে মঙ্গোলিয়ায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৬
এসকে/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ