ঢাকা, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাসমেলায় যেতে ভেটখালী থেকেই সাজসাজ রব

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৬
রাসমেলায় যেতে ভেটখালী থেকেই সাজসাজ রব ছবি: জেসমিন পাপড়ি, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আর একদিন পরেই শুরু হবে রাসমেলা। উপকূলবাসীর কাছে পূর্ণিমা তিথিতে বছরে একবার আসে এ উৎসব।

সাতক্ষীরা থেকে: আর একদিন পরেই শুরু হবে রাসমেলা। উপকূলবাসীর কাছে পূর্ণিমা তিথিতে বছরে একবার আসে এ উৎসব।

রাসমেলাকে ‘সাগর মেলা’ নামেই বলেন উপকূলবাসী। মেলার নাম যাই হোক, সুন্দরবনের কাছে বঙ্গোপসাগরের বুকে এ মেলায় যেতে প্রস্তুত এখন উপকূলবাসী। তাদের সঙ্গে যোগ হয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ।  
 
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকেল থেকেই সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মাদার নদীতে ভেটখালী ব্রিজের নিচে সাজসজ্জা করে ভিড়েতে শুরু করে ছোট বড় অনেক ট্রলার। রাত ১১টা পর্যন্ত পাঁচটি ট্রলার মেলায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এ ঘাটে। সন্ধ্যার পর আরও কয়েকটি ছেড়ে গেছে।
 
উপকূলবাসীর কাছে সুন্দরবনের রাসমেলা বড় উৎসব। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে মেলায় যাচ্ছেন অনেকেই। শ্যামনগর, মুন্সিগঞ্জের এ রুট ব্যবহার করে মেলায় যান দর্শনার্থী ও পূণ্যার্থীরা।
 
ভেটখালী ঘাটে ভেড়া ট্রলারগুলোর উপরে ছাউনী দিয়ে মরিচ বাতি দিয়ে আলোকিত করা হয়েছে। সব ট্রলারেই বাজছে মাইক। রাতের খাবারের জন্য প্রতিটি ট্রলারেই রান্নার কাজ করছেন বাবুর্চিরা। এক কথায় উৎসবের সাজ সাজ রব বিরাজ করছে ভেটখালী ঘাটে।  
 
সন্ধ্যার পরই নদীর পড়ে যে বাজারে নিস্তব্ধতা নেমে আসে মেলা উপলক্ষে সেখানে রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত অধিকাংশ দোকানপাট খোলা রয়েছে। বাজারের দোকানগুলোতে মেলায় গমনেচ্ছুরা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছেন। নিয়মিত দোকানের পাশাপাশি বসেছে মিষ্টান্নের বিভিন্ন দোকানও।
 
এই বাজারের মুদি দোকানদার হারুন অর রশিদ বলেন, প্রতিবারই মেলায় যাওয়ার জন্য এখান থেকে ট্রলারগুলো একসঙ্গে ছাড়ে। আগে থেকে ভাড়া করা ট্রলারে যান সাগর মেলায়।
 
চাঁদের আলো নামে ট্রলারের একজন জানান, শুধু ট্রলার ভাড়া ৪৫ হাজার টাকা। সঙ্গে তেল ও অন্যান্য খরচ মিলে পড়বে প্রায় লাখ টাকা। ট্রলারে পঞ্চাশ জনের মত দর্শনার্থীর তিন দিনের খাবার ও অন্যান্য জিনিসপত্রের আয়োজন করা হবে।  
 
ভেটখালী ঘাটে ট্রলারগুলো একসঙ্গে ছেড়ে যাবে সুন্দরবনের উদ্দেশে। পথে শ্যামনগরের কৈখালীতে বনবিভাগের অফিস থেকে অনুমতির পর শনিবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ট্রলারগুলোর যাত্রা করবে মেলায়।
 
শীতের শুরু হওয়ায় প্রয়োজনীয় কাপড় নিয়ে ট্রলারে উঠেছেন দর্শনার্থীরা। মাদার নদী হয়ে সুন্দরবনের মধ্যে ছোট বড় নদী পেরিয়ে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে ট্রলারে প্রায় ১২ ঘণ্টা যাত্রার পর মিলবে মেলার দেখা।
 
কুঙ্গা ও মরা পশুর নদীর মোহনায় জেগে উঠা দুবলারচরে ১৩ নভেম্বর শুরু হয়ে মেলা চলবে তিন দিন। দর্শনার্থী ও পূণ্যার্থীদের পদচারণায় মুখর হবে মেলা প্রাঙ্গণ। মেলা উপলক্ষে ছোট বড় দোকান বসার খবরও পাওয়া গেছে সেখানটায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
এমআইএইচ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।